মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো এবং কাফির ও মুনাফিকদের অনুসরণ করো না।’
‘মে দিবস’-এর চেতনা প্রকৃতপক্ষে বিধর্মীদের গণতান্ত্রিক চেতনা। যা মুসলমানদের জন্য ধর্মহীনতা ব্যতীত কিছুই নয়। কারণ দ্বীন ইসলাম-এ চৌদ্দশত বছর আগেই শ্রমিক স্বার্থ পুরোই সংরক্ষণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইহুদী নাছারাদের প্রবর্তিত মে দিবস যা শ্রমিক দিবস হিসেবে মশহুর হয়েছে মাত্র ১২৩ বৎসর পূর্বে। তাতে শ্রমিক স্বার্থ যেরূপ সংরক্ষণ করতে পারেনি তদ্রুপ পারেনি তাদের যথাযথ মর্যাদা দিতে।
মে দিবস প্রকারান্তরে শ্রমিকদের নিম্ন শ্রেণীর লোক হিসেবেই হেয় প্রতিপন্নই করছে।
সরকারের উচিত এ দিনের ছুটি বাতিল করে ইসলামী মূল্যবোধযুক্ত দিনে সরকারি ছুটির ব্যবস্থা করা।
যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, ইমামে আ’যম, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম, আওলাদুর রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “একমাত্র দ্বীন ইসলামই চৌদ্দশত বৎসর পূর্বে শ্রমিকের স্বার্থ সংরক্ষণ করেছে এবং তাদের যথাযথ মর্যাদা প্রদান করেছে। পক্ষান্তরে পহেলা মে বা শ্রমিক দিবস যেরূপ শ্রমিক স্বার্থ সংরক্ষণ করতে পারেনি তদ্রুপপারেনি তাদের যথাযথ মর্যাদা দিতে। অথচ দুঃখজনক হলেও সত্য যে- মে দিবসের আলোচনায় ও চিন্তায় অন্যান্যদের সাথে মুসলমানও একই ইতিহাস আলোচনা করে ও একই মনোভাব ব্যক্ত করে। অথচ মুসলমানের রয়েছে একটা আলাদা ঐতিহ্য ও আদর্শ তথা মূল্যবোধ। বলাবাহুল্য, ইসলামের দৃষ্টিতে মে দিবসের প্রক্রিয়া ও প্রতিপাদ্য অর্থহীন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, শ্রমজীবী মানুষের মেহনত সম্পর্কে কুরআন শরীফ-এ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “নিশ্চয় আমি (আল্লাহ পাক) মানুষকে সৃষ্টি করেছি পরিশ্রমী বা শ্রমজীবী করে।” (সূরা বালাদ : আয়াত শরীফ ৪)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ইসলামী বিধান অনুযায়ী কৃষক, শ্রমিক বা কোন কর্মজীবীকে কেউ বিনা পারিশ্রমিকে খাটাতে পারবে না। হাদীছ শরীফ-এ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তিনি শ্রমিকের মজুরি নির্ধারণ না করে তাকে কাজে নিয়োগ করতে নিষেধ করেছেন। (বায়হাকী)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, শ্রমিকের মজুরি প্রদান সম্পর্কে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তিনি সুস্পষ্ট ঘোষণা করেছেন, ‘শ্রমিকের গায়ের ঘাম শুকানোর আগেই তার প্রাপ্য মজুরি দিয়ে দাও।’ (ইবনে মাযাহ)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, শ্রমিকদের হুকুম-আহকাম সম্পর্কে অর্থাৎ শ্রমিকের অধিকার সম্পর্কে কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফই যথেষ্ট। এ বিষয়ে মুসলমানদের জন্য বিধর্মীদের থেকে কর্জ নিতে হবে না। তারপরও যদি ১লা মে সম্পর্কে বলতে হয় তাহলো ‘পহেলা মে’ বা ‘শ্রমিক দিবস’-এর মাধ্যমে প্রকারান্তরে শ্রমিকদের হেয় প্রতিপন্নই করছে। অর্থাৎ তারা প্রমাণ করছে যে, শ্রমিকরা আলাদা বা নিম্নশ্রেণীর লোক। অথচ ইসলামে শ্রমের দিক দিয়ে একজন সুইপার ও রাজা-বাদশাহর স্থান এক। অর্থাৎ সুইপার যেরূপ শ্রমিক, রাজা-বাদশাহও সেরূপ শ্রমিক। যেহেতু উভয়েই শ্রম দিয়ে থাকে। তবে যার ভিতর যত বেশি খোদাভীতি, তাক্বওয়া, পরহেযগারী থাকবে সে তত বেশি মর্যাদার অধিকারী হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি কথিত মে দিবসের ইতিহাস উল্লেখ করে বলেন, ১৮৮০ সাল এবং এর পূর্ববর্তী সময়কালেও কল-কারখানার মালিকরা তাদের শ্রমিকদের প্রচুর খাটাতো, ঠিক মতো বেতন-ভাতা দিত না। তাদের সঙ্গে অমানুষের মতো ব্যবহার করা হতো। শ্রমিকরা প্রায়ই আন্দোলন করত ১৮৮৬ সালে এই মাত্রাটা বেশ বেড়ে যায়। কয়েকদিন পরপর শ্রমিকরা ধর্মঘট ডাকে। তখন মে মাসের এক তারিখ কাকতালীয়ভাবে এদিন ধর্মঘট পালন করা হয়। তারপর সেই মাসেরই চার তারিখে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে শিকাগো শহরে বের করা হয় শান্তিপূর্ণ মিছিল। মিছিলটি যখন ‘হে মার্কেট স্কয়ার’ নামের একটি জায়গায় গিয়ে পৌঁছাল, তখন হঠাৎ করে কে যেন বোমা মেরে বসলো মিছিলের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশকে। সঙ্গে সঙ্গে লেগে গেল মারামারি। পুলিশ শুরু করলো গুলি, মারা গেল অনেকেই। এ ঘটনাই ইতিহাসে লেখা থাকলো মে দিবস হিসেবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ১৮৮৯ সালের ১৪ জুলাইয়ে প্যারিসে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় বিশ্ব শ্রমিক সম্মেলনে ‘পহেলা মে’কে আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেই থেকে প্রতি বছর বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের কথিত অধিকার প্রতিষ্ঠায় স্মরণীয় দিন হিসেবে ঐতিহাসিক মে দিবস বিশ্বের সর্বত্র আনুষ্ঠানিকভাবে পালিত হয়ে আসছে। উল্লেখ্য, মে দিবস পার হয়ে গেলে শ্রমিকদের প্রতি তাদের কর্তব্য ও এদিনের তাৎপর্য বেমালুম ভুলে যায়। এ তথ্য আজ প্রতিষ্ঠিত সত্য।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, শ্রমিক স্বার্থ সম্পৃক্ত মে দিবসের প্রেরণা মাত্র ১২৩ বছর আগের। তারপরেও মে দিবসের ঘোষণায় শ্রমিক স্বার্থ পুরোই সংরক্ষিত হয়েছে, সে কথা বললে মহা ভুল হবে। অথচ তার চেয়েও বহু পূর্বে চৌদ্দশত বছর আগেই ইসলামে শ্রমিক স্বার্থ পুরোই সংরক্ষিত হয়েছে। শ্রমিককে মালিকের ভাই বলে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। সব মুসলমান ভাই ভাই বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তদুপরি মালিককে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে, “প্রত্যেকেই রক্ষক, তাকে তার রক্ষিত বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে।” (বুখারী শরীফ)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মে দিবসের ঘটনা ও চেতনা ইসলামে শ্রমিকের স্বার্থ ও মর্যাদার প্রেক্ষিতে কিছুই নয়। মে দিবসের চেতনা প্রকৃতপক্ষে বিধর্মীদের গণতান্ত্রিক চেতনা যা মুসলমানদের জন্য ধর্মহীনতা ব্যতীত কিছুই নয়। তাই মে দিবসের চেতনা পথভ্রষ্ট ও অপরিপূর্ণ বিধর্মীদের কাছে অনেক কিছু হতে পারে, কিন্তু মুসলমানের কাছে প্রাসঙ্গিকও নয়, প্রয়োজনীয়ও নয়। বরং তা বিধর্মীদর অনুসরণ বলে নাজায়িযও বটে। হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “যে ব্যক্তি যে জাতির সাথে মিল রাখে; তার হাশর-নশর তাদের সাথেই হবে।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মে দিবসে সরকারি ছুটি অর্থহীন। অথচ আমাদের ইসলামী মূল্যবোধ সম্পৃক্ত দিনগুলোতে সরকারি ছুটির ব্যবস্থা নেই। আখিরী চাহার শোম্বা, ফাতিহায়ে ইয়াজদাহম, মিরাজ শরীফ, লাইলাতুর রাগায়িব, ১লা রজব, ৬ই রজব ইত্যাদি গুরুত্ববহ দিনগুলোতে সরকারি ছুটির কোন ব্যবস্থা নেই। অথচ এগুলো ইসলামের দৃষ্টিতে অত্যন্ত ফযীলত ও বরকতযুক্ত দিন। সরকারের উচিত ইসলামী মূল্যবোধহীন দিনে ছুটির পরিবর্তে এসব ইসলামী মূল্যবোধযুক্ত দিনে সরকারি ছুটির ব্যবস্থা করা।
-০-
তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট
| al-ihsan.net
No comments:
Post a Comment