মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মাহকে জানিয়ে দিন, আল্লাহ পাক তিনি ফজল-করম এবং রহমত হিসেবে উনার প্রিয়তম হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যে হাদিয়াস্বরূপ দিয়েছেন সেজন্য তারা যেন খুশি প্রকাশ করে।
উল্লেখ্য, যে সকল মাওলানারা ‘সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিরোধিতা করে’ তারাই উলামায়ে ‘ছূ’ বা ধর্মব্যবসায়ী।
হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে, উলামায়ে ‘ছূ’রা হচ্ছে সৃষ্টির নিকৃষ্ট থেকে নিকৃষ্টতম প্রাণী।
এদের কথা শোনা, এদেরকে অনুসরণ করা ও এদের পিছনে নামায পড়া হারাম। আর এদের ছোহবত থেকে দুরে থাকা সকলের জন্যই ফরয-ওয়াজিব।
যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশী প্রকাশ করার মাঝেই মাখলুকাতের কামিয়াবী নিহিত। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মাহকে জানিয়ে দিন, আল্লাহ পাক তিনি ফজল-করম এবং রহমত হিসেবে উনার প্রিয়তম হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যে হাদিয়াস্বরূপ দিয়েছেন সেজন্য তারা যেন খুশি প্রকাশ করে।” (সূরা ইউনুস : আয়াত শরীফ ৫৮)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের মুবারক আগমন ও বিদায় এবং বিশেষ ঘটনা সংঘটিত হওয়ার দিন তথা মাস উম্মাহর জন্য ঈদ বা খুশির অন্তর্ভুক্ত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যে কোনো লোক, যে কোনো সময়, যে কোনো নিয়ামত লাভ করলে সে সন্তুষ্ট হয়, খুশি প্রকাশ করে। পরীক্ষার ফল প্রকাশ পেলে পরীক্ষার্থীরা এত খুশি হয় যে, তাদের খুশি প্রকাশের জন্য মিষ্টি কেনার কারণে দেশের সমস্ত মিষ্টি শেষ হয়ে যায়। একটা সাধারণ দুনিয়াবী কারণে যদি মানুষ এত খুশি হয় তাহলে যিনি আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে এ মাসে তা হলে কতটুকু খুশি প্রকাশ করতে হবে। এ মাসে যার যতটুকু তাওফীক রয়েছে, যেভাবে তাওফীক রয়েছে ঠিক ততটুকু সেভাবে সে খুশি প্রকাশ করবে; তা হলে তার জন্যে কামিয়াবী রয়েছে। অথচ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হলেন নিয়ামতে কুবরা। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “তোমাদেরকে যে নিয়ামত দেয়া হয়েছে তা তোমরা আলোচনা কর, প্রকাশ কর।” (সূরা দোহা : আয়াত শরীফ ১১) এ আয়াত শরীফ সম্পর্কে উল্লেখ্য যে, নিয়ামতে কুবরা বা সবচাইতে বড় নিয়ামত হচ্ছেন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। কারণ কায়িনাত যদি উনাকে না পেত তাহলে আল্লাহ পাক উনাকেও পেত না।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অথচ ইহুদী-নাছারার দালাল উলামায়ে ‘ছূ’রা পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করাকে বিদ্য়াত বলে প্রচার করে থাকে। নাউযুবিল্লাহ! মূলত: যে সকল মাওলানারা ‘সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিরোধিতা করে’ তারাই উলামায়ে ‘ছূ’ বা ধর্মব্যবসায়ী। এদের কথা শোনা, এদেরকে অনুসরণ করা ও এদের পিছনে নামায পড়া হারাম। আর এদের ছোহবত থেকে দুরে থাকা সকলের জন্যই ফরয-ওয়াজিব।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি উলামায়ে ‘ছূ’দের পরিচয় বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, যার মধ্যে আল্লাহভীতি নেই এবং যে ইলম অনুযায়ী আমলও করে না বরং হারাম-নাজায়িয কাজে মশগুল থাকে এবং দুনিয়া বা টাকার লোভে হারামকে হালাল ও হালালকে হারাম বলে; তারাই উলামায়ে ‘ছূ’ বা ধর্মব্যবসায়ী অর্থাৎ দুনিয়াদার মাওলানা। এদের সম্পর্কেই হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত হয়েছে, “আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, আমার উম্মতের উলামায়ে ‘ছূ’দের জন্য জাহান্নাম; যারা ইলমকে ব্যবসা হিসেবে গ্রহণ করে তাদের যামানার আমীর-উমরা বা রাজা-বাদশাহদের কাছে অর্থ ও পদ লাভের জন্য তা বিক্রি করে থাকে। তাদের এ ধর্মব্যবসায় আল্লাহ পাক তিনি কখনো বরকত দিবেন না।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি উলামায়ে ‘ছূ’দের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, যারা দুনিয়াবী ফায়দা হাছিলের উদ্দেশ্যে আমীর-উমরা, রাজা-বাদশাহ, মন্ত্রী-মিনিস্টার এমনকি মহিলাদের সাথে একত্রে চলাফেরা করে, উঠাবসা করে, যাওয়া-আসা করে, মিটিং-মিছিল করে, তাদের ছানা-ছিফত ও গুণ বর্ণনা করে প্রকাশ্যে বেপর্দা হয়, ছবি তোলে, ভিডিও করে, টিভি চ্যানেলে প্রোগ্রাম করে, ইসলামের নামে গণতন্ত্র তথা ভোট-নির্বাচন করে, হরতাল করে, লংমার্চ করে, মৌলবাদী দাবী করে, কুশপুত্তলিকা দাহ করে, ব্লাসফেমী আইন চায় তারা আলিম তো নয়ই বরং সর্বনিকৃষ্ট শ্রেণীর মাওলানা তথা উলামায়ে ‘ছূ’। এদের প্রসঙ্গেই হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই (সৃষ্টির মধ্যে) সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট জীব হচ্ছে উলামায়ে ‘ছূ’ তথা দুনিয়াদার ধর্মব্যবসায়ী মাওলানা।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, শরীয়তের ফায়ছালা হলো উলামায়ে ‘ছূ’ বা ধর্মব্যবসায়ীদের ওয়াজ শোনা তাদের ফতওয়া মানা, তাদেরকে অনুসরণ করা হারাম আর তাদের ছোহবত থেকে দূরে থাকা ফরয-ওয়াজিব। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি সূরা কাহাফ-এ ইরশাদ করেন, “তোমরা ঐ ব্যক্তিকে অনুসরণ করোনা যার ক্বালব আমার যিকির থেকে গাফিল। সে নফসের পায়রবী করে আর তার কাজগুলো শরীয়তের খিলাফ।” অর্থাৎ যারা শরীয়তের খিলাফ কাজ করে তাদেরকে আল্লাহ পাক অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আর হাদীছ শরীফ-এ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “তোমরা কার থেকে দ্বীন গ্রহণ করছো অর্থাৎ ইলম হাছিল করছো তা লক্ষ্য করো।” অর্থাৎ যাদের আক্বীদা ও আমল শরীয়তের খিলাফ তাদের থেকে ইলম হাছিল করোনা, তাদের ওয়াজ শুনোনা, তাদের ফতওয়া মেনোনা, তাদের পিছনে নামায পড়োনা।
হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, “আখিরী যামানায় কিছু মিথ্যাবাদী দাজ্জাল তথা উলামায়ে ‘ছূ’ বের হবে তারা এমন কথা বলবে ও আমল করবে যা তোমরা তো দূরের কথাই তোমাদের বাপ-দাদারাও শুনে নাই দেখে নাই; (অর্থাৎ তারা শরীয়ত বিরোধী কথা বলবে আমল করবে) তোমরা তাদেরকে দূরে রাখ, তাদের থেকে দূরে থাক তবে তারা তোমাদের (আক্বীদা ও আমল নষ্ট করে) ফিৎনায় ফেলতে ও গুমরাহ করতে পারবে না। এ হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, উলামায়ে ‘ছূ’দের ছোহবত থেকে দূরে থাকা ফরয-ওয়াজিব।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- যে সকল মাওলানারা ‘সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিরোধিতা করে’ তারাই উলামায়ে ‘ছূ’ বা ধর্মব্যবসায়ী। এদের কথা শোনা, এদেরকে অনুসরণ করা ও এদের পিছনে নামায পড়া হারাম। আর এদের ছোহবত থেকে দুরে থাকা সকলের জন্যই ফরয-ওয়াজিব।
-০-
তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © দৈনিক আল ইহসান | দৈনিক আল ইহসান.
No comments:
Post a Comment