Pages

Thursday, December 3, 2015

সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর মহাপবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপনে কোনো ঈমানদার মুসলমান বাধা দিতে পারে না-১


একমাত্র গুমরাহ বিদয়াতী ওহাবী খারেজী সম্প্রদায়ের অনুসারীরাই বাধা দিয়ে থাকে! নাউযুবিল্লাহ!
কুল-কায়িনাতে মাঝে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল ইজ্জত উনার সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বোত্তম পবিত্র ইবাদত- সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, মহাপবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপনে বহুদিন যাবৎ বহু প্রকার গুমরাহ বিদয়াতী ওহাবী খারেজী সম্প্রদায়ের অনুসারী গং বাধা দিয়ে আসছে। তারা নানা প্রকার মিথ্যা তোহমত, মিথ্যা বানোয়াট ইতিহাস, মনগড়া তথ্য-উপাত্ত এবং পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের অপব্যাখ্যা করে ধর্মপ্রাণ ঈমানদার মুসলমানগণ উনাদের মাঝে ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টি করে আসছে। বিশেষ করে প্রতিবছর মহাপবিত্র সাইয়্যিদুশ শুহূর, শাহরুল আ’যম মাহে রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস আসলেই এসব গুমরাহ বিদয়াতী ওহাবী খারেজী সম্প্রদায়ের অনুসারীরা বিভিন্নভাবে তাদের অপতৎপরতা শুরু করে দেয়। নাউযুবিল্লাহ! এসব ক্ষেত্রে তারা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একই কথা ভাঙ্গা রেকর্ডের ন্যায় শুনাতে থাকে। নাউযুবিল্লাহ! আলোচ্য প্রবন্ধে আমরা ওইসব গুমরাহ বিদয়াতী ওহাবী খারেজীদের ভাঙ্গা রেকর্ডের দাঁতভাঙ্গা জবাব তুলে ধরবো ইনশাআল্লাহ। যাতে করে সারাবিশ্বের তামাম ধর্মপ্রাণ ঈমানদার মুসলমান উনাদের ঈমান আরো মজবুত এবং সুদৃঢ় হয়।
-কাট্টা গুমরাহ বিদয়াতী ওহাবী খারেজীরা বলে- প্রথমতঃ এটি রাসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কিংবা উনার খলীফা উনাদের সুন্নাত ছিল না। ফলে এটি একটি নিষিদ্ধ নব উদ্ভাবন তথা বিদয়াত; তাই এটি পরিত্যাজ্য। নাউযুবিল্লাহ!
প্রিয় পাঠক! কত বড় মিথ্যাবাদী মুনাফিক হলে এমন মিথ্যা তোহমত তারা দিতে পারে তা কল্পনা করলেও গাঁ শিউরে উঠে। কারণ সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, মহাপবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা, উদযাপন করাতো খোদ ইলাহী পাক উনারই নির্দেশ মুবারক। যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মাঝে ইরশাদ মুবারক করেন,
قل بفضل الله وبرحمته فبذلك فليفرحوا هو خير مما يجمعون
অর্র্থ: “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মাহকে জানিয়ে দিন, মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বীয় অনুগ্রহ ও রহমত হিসেবে উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছেন, সে কারণে তারা যেন খুশি প্রকাশ করে। এই খুশি প্রকাশ করাটা সেসবকিছু থেকে উত্তম, যা তারা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৮)
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার মুবারক হুকুম বা নির্দেশের কারণে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে তা পালন করেন অর্থাৎ উদযাপন করেন সর্বপ্রথম হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাই। খুশি প্রকাশ করে উনারা তাবারুকের ব্যবস্থাসহ আযীমুশ শান মাহফিলের আয়োজন করেন এবং স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেই মুবারক মাহফিলে উপস্থিত হয়ে রহমত, মাগফিরাত, নাজাত ও শাফায়াতের সুসংবাদ প্রদান করেন। সুবহানাল্লাহ!
যেমন এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাঝে বর্ণিত রয়েছে-
عن ابى الدرداء رضى الله تعالى عنه انه مر مع النبى صلى الله عليه وسلم الى بيت عامر الانصارى وكان يعلم وقائع ولادته صلى الله عليه وسلم لا بنائه وعشيرته ويقول هذا اليوم هذا اليوم فقال عليه الصلوة والسلام ان الله فتح لك ابواب الرحمة والملائكة كلهم يستغفرون لك من فعل فعلك نجى نجتك
অর্র্থ: “বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আবূ দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে যে, একদা তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে হযরত আমির আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার গৃহে উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলেন যে, তিনি আযীমুশ শান বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে উনার সন্তান-সন্ততি, আত্মীয়-স্বজন, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশীদেরকে সমবেত করে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র বিলাদত শরীফ উনার কুদরতী এবং মু’জিযা শরীফ সমৃদ্ধ ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছেন এবং বলছেন, এই দিবস মুবারক, এই দিবস মুবারক অর্র্থাৎ এই দিবস মুবারকে নূরে মুজাসসাম হাবীল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যমীনে উনার মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন অর্থাৎ তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেছেন। এমন সময় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেখানে উপস্থিত হলেন। (তিনি যখন উপস্থিত হলেন তখন সমবেত সবাই দাঁড়িয়ে উনাকে সালাম পেশ করতঃ আহলান সাহলান জানিয়ে পবিত্র আসন মুবারকে বসালেন।) মহাপবিত্র বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে এমন আযীমুশ শান মাহফিল করতে দেখে তিনি উপস্থিত সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা আপনাদের জন্য রহমতের দরজা উš§ুক্ত করে দিয়েছেন এবং সমস্ত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা আপনাদের জন্য মাগফিরাত তথা ক্ষমা প্রার্থনা করছেন এবং যে কেউ আপনাদের মতো এরূপ আমল করবে অর্থাৎ সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উদযাপন করবে, আপনাদের মতো উনারাও রহমত ও মাগফিরাত এবং নাজাত লাভ করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (সুবুলুল হুদা ফী মাওলিদে মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
প্রিয় পাঠক! মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার পবিত্র আয়াত শরীফ এবং উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো- সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, মহাপবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করা খোদ মহান আল্লাহ পাক উনারই নির্দেশ মুবারক; যা মান্য করা জিন-ইনসানসহ কুল-কায়িনাতের সকলের জন্যই ফরয। আর এই পবিত্র ফরয সর্বোত্তম আমল ইবাদত আনুষ্ঠানিকভাবে আমলে বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাই। উনাদের এই মুবারক ফরয আমল ইবাদতে খুশি প্রকাশ করে রহমত মাগফিরাত এবং নাজাতের সুসংবাদ দিয়েছেন স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
অতএব, সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, মহাপবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করা সম্পর্কে কাট্টা গুমরাহ বিদয়াতী ওহাবী খারেজীদের প্রথম প্রলাপ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং খোঁড়া য্ুিক্ত হিসেবে প্রমাণিত হলো।
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌
-মুহম্মদ মুনতাসীর রহমান। © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net

মা’রিফাত-মুহব্বত, সন্তুষ্টি-রেযামন্দি, কুরবত-নৈকট্য, তালাশকারিনী মহিলাগণ উনাদের উদ্দেশ্যে ....

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
لوكنت امرا لاحد ن يسجد لاحد لامرت المراة ان تسجد لزوجها
অর্থ: “আমি যদি কাউকে সেজদা করার আদেশ দিতাম তাহলে মহিলাদেরকে আদেশ দিতাম, তারা যেন তাদের স্বামীদেরকে সেজদা করে।” (সুনানুল কুবরা শরীফ, তিরমিযী শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফ)
মহান আল্লাহ পাক এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মা’রিফাত-মুহব্বত, সন্তুষ্টি-রেযামন্দি, কুবরত-নৈকট্য তালাশকারিনী মহিলাগণ উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফখানার আলোকে আমল করে থাকেন। উনারা উনার স্বামীর সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টিকে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টি মনে করে থাকেন।
মহিলাগণ উনারা যদি নিম্ন লিখিত বিষয়গুলোর প্রতি সর্বদা গভীর দৃষ্টি রাখেন তাহলে মা’রিফাত-মুহব্বত, সন্তুষ্টি-রেযামন্দি, তায়াল্লুক-নিসবতপ্রাপ্তির বিষয়টি অতীব সহজ হবে-
১) স্বামী বাইরে থেকে এলে উনাকে আহলান-সাহলান (স্বাগতম) জানানোর জন্য আহলিয়া (স্ত্রী)কে দরজায় এগিয়ে আসা। স্বামীর হাতে কোনো জিনিসপত্র থাকলে তা নিজের হাতে নেয়ার চেষ্টা করা।
২) স্বামী বাইরে থেকে আসলে বাতাসের ব্যবস্থা করা। সাথে সাথে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করা।
৩) সময় ও মেজাজ বুঝে স্বামীর সাথে মুহব্বত-ভালোবাসা মিশ্রিত কথা-বার্তা বলা। স্বামীর সামনে উনার ভালো গুণাবলীর কথাগুলো উল্লেখ করে উনার প্রশংসা করা। উনার সম্মান-মর্যাদা বজায় রাখা।
৪) বিশেষ বিশেষ দিন বা উপলক্ষে স্বামীর হাতে, কপালে বুছা দেয়া।
৫) স্বামীর পোশাক-পরিচ্ছদ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি বিশেষভাবে খেয়াল রাখা। (মনে রাখতে হবে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পুরুষ মানেই তার আহলিয়া (স্ত্রী) পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন)
৬) রান্না-বান্নার ক্ষেত্রে স্বামী যা পছন্দ করেন, যেভাবে পছন্দ করেন, তা নিজ হাতে প্রস্তুত করতে সচেষ্ট থাকা।
৭) স্বামীর সামনে সব সময় হাস্যজ্জ্বল বদনে থাকা।
৮) স্বামীর সন্তুষ্টির জন্য নিজেকে সুসজ্জিত রাখা। শরীরে দুর্গন্ধ থাকলে কিংবা রান্না-বান্নার পোশাকে উনার সামনে না যাওয়া।
৯) স্বামীর সামনে কখনোই নিজের কণ্ঠস্বরকে উচু না করা। স্মরণ রাখতে হবে, মহিলাগণ উনাদের সৌন্দর্য উনাদের নম্র কন্ঠে।
১০) সন্তানগণের সামনে স্বামীর প্রশংসা ও ছানা-ছিফত করা।
১১) নিজের এবং স্বামীর পিতা-মাতা, ভাই-বোন ও আত্মীয় স্বজনদের সামনে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং নিজের শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার প্রশংসার সাথে সাথে স্বামীর প্রশংসা করা এবং শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরা। কখনোই স্বামীর বিরুদ্ধে উনাদের নিকট কোনো অভিযোগ না করা।
১২) সুযোগ-সুবিধা বুঝে স্বামীকে নিজহাতে লোকমা তুলে খাওয়ানো।
১৩) কখনো স্বামীর আভ্যন্তরীণ গোপন বিষয় অনুসন্ধান না করা। তাতে সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে।
১৪) স্বামী কখনো রাগাম্বিত হলে চুপ থাকা। সম্ভব হলে স্বামীর রাগ থামানোর ব্যবস্থা করা। যদি তিনি অন্যায়ভাবে রেগে থাকেন, তাহলে অন্য সময়ে উনার মেজাজ-মর্জি বুঝে সমঝোতার ব্যবস্থা করা।
১৫) কখনোই মুখে মুখে তর্ক-বিতর্ক করা যাবে না। কেননা, তাতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিচ্ছন্নতা তথা বিচ্ছেদ দেখা দেয়।
১৬) স্বামীর মাতা-পিতাকে নিজের পক্ষ থেকে মাঝে মাঝে সাধ্যানুযায়ী কিছু কিছু হাদিয়া দেয়া।
১৭) সম্পদশালী হয়ে থাকলে স্বামীর অভাব-অনটনের সময় উনাকে সহযোগিতা করা।
উম্মুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মে সালামা আলাইহাস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “একদিন আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকে আরজ করলাম- ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!! (আমার পূর্ব স্বামী) আবু সালামার সন্তানদের জন্য যদি আমি অর্থ ব্যয় করি তবে কি তাতে আমি প্রতিদান পাবো? তাদেরকে তো আমি এভাবে ছেড়ে দিতে পারি না। তারা তো আমারই সন্তান। তিনি বললেন- হ্যাঁ; তাদের জন্য আপনি যে পরিমাণ সম্পদ খরচ করবেন তার প্রতিদান আপনাকে দেয়া হবে।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
১৮) স্বামীর আদেশ-নিষেধ পালন এবং উনার সংসারে খিদমত ইত্যাদির মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি, নৈকট্য, কুরবত মুবারক কামনা করা।
১৯) ধন-সম্পদ, মান-সম্মান, প্রভাব-প্রতিপত্তি হাদিয়া উপঢৌকন ইত্যাদি যা প্রাপ্তি ঘটে তা স্বামীর উসীলায় হয়েছে বলে মনে করা। █║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌
-আল্লামা মুফতী মুহম্মদ আল কাওসার আহমদ। © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net

Wednesday, December 2, 2015

সম্মানিত ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফই হচ্ছেন পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ।
যা কুল-কায়িনাতের সকল রাত ও দিনের চেয়েও লক্ষ-কোটিগুণ বেশি মর্যদাসম্পন্ন ও ফযীলতপূর্ণ রাত ও দিন মুবারক-২

দশম হিজরী শতক উনার মুজাদ্দিদ হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূত্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘ই’জাযুল কুরআন শরীফ’ উনার মধ্যে উল্লেখ্য করেন,
وَمَوْلَانَا مُـحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَـمَّا زُجَّ بِهٖ فِىْ عَالَـمِ الْعِزَّةِ اَرَادَ اَنْ يـَّخْلَعَ نَعْلَيْهِ فَاِذَا النّـِدَاءُ يَا مـُحَمَّدُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تَخْلَعْ نَعْلَيْكَ. فَقَالَ يَا رَبِّ سَــمِعْتُكَ تَقُوْلُ لِـمُوْسٰى عَلَيْهِ السَّلَامُ فَاخْلَعْ نَعْلَيْكَ .فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَئِنْ اَمَرْتُ حَضْرَتْ مُوْسٰى عَلَيْهِ السَّلَامُ بِنَزْعِ نَعْلَيْهِ عَلٰى جَبَلِ الطُّوْرِ فَقَدْ اَبَحْنَا لَكَ اَنْ تَطَأَ بِنَعْلَيْكَ عَلٰى بَسَاطِ النُّوْرِ لِاَنَّكَ الْمُكَرَّمُ عِنْدَنَا وَالْعَزِيْزُ لَدَيْنَا.
অর্থ: ‘আর আমাদের যিনি মাওলা, নবী, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন (সম্মানিত মি’রাজ শরীফ উনার রজনীতে) সম্মানিত ইয্যত উনার জগতে সম্মানিত তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করলেন তথা সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক উনার নিকটবর্তী হলেন, তখন তিনি উনার সম্মানিত না’লাইন শরীফ মুবারক খুলে সম্মানিত আরশে আযীম তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করবেন কিনা সেই বিষয়টি চিন্তা মুবারক করলেন। এমতাস্থায় তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত ওহী মুবারক করেন, হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনি আপনার সম্মানিত না’লাইন শরীফ খুলবেন না। অর্থাৎ আপনি সম্মানিত না’লাইন শরীফসহ আমার সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক-এ সম্মানিত তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করুন। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আয় বারে ইলাহী, আমিতো শুনেছি, আপনি জলীলুল ক্বদর নবী ও রসূল হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে উদ্দেশ্য করে ইরশাদ মুবারক করেছিলেন,
فَاخْلَعْ نَعْلَيْكَ
অর্থ: “(আপনি সম্মানিত তূর পাহাড়ে তাশরীফ মুবারক রাখতে যাচ্ছেন। তাই) আপনার সম্মানিত না’লাইন শরীফ খুলুন।” (সম্মানিত সূরা ত্বহা শরীফ: সম্মানিত আয়াত শরীফ:১২)
অর্থাৎ আপনি আপনার সম্মানিত না’লাইন শরীফ মুবারক খুলে সম্মানিত তূর পাহাড়ে সম্মানিত তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করুন।
তারপর মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যদিও আমি হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে উনার সম্মানিত না’লাইন শরীফ খুলে সম্মানিত তূর পাহাড়ে সম্মানিত তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ মুবারক প্রদান করেছি। কিন্তু আমি আপনার ক্ষেত্রে এটাই পছন্দ করেছি যে, আপনি যেন আপনার সম্মানিত না’লাইন শরীফসহ সম্মানিত নূর মুবারক উনার প্রশস্ত ময়দান মুবারক-এ তথা নূরে নূরময় সম্মানিত নূরানী আরশে আযীম মুবারক-এ তাশরীফ গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ! কেননা আপনি আমার নিকট সবচেয়ে অধিক সম্মানিত এবং আমার নিকট সবচেয়ে অধিক প্রিয়, মাহবূব। সুবহানাল্লাহ! (আমার সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক আপনার সম্মানিত না’লাইন শরীফ উনাদের পরশে, আপনার সম্মানিত না’লাইন শরীফ উনাদের ধুলি মুবারক উনাদের স্পর্শ মুবারক-এ ধন্য হবেন, শান-মান, ফাযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক হাছিল করবেন। শুধু তাই নয়, আমার সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক আপনার সম্মানিত না’লাইন শরীফ উনাদের স্পর্শ মুবারক উনার কারণে বরকতময় হয়ে আরো পবিত্রতা হাছিল করবেন এবং অন্য সবার উপর ফখর করবেন।) সুবহানাল্লাহ! (ই’জাযুল কুরআন শরীফ ৩/৬৩)
এখন বলার বিষয় হচ্ছে, সাধারণ মাটি, ধূলি-বালি যার কোনো ক্বদর নেই; কিন্তু নূরে মুজসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত স্পর্শ মুবারক-এ আসার কারণে উক্ত মাটি, ধূলি-বালির মর্যাদা, শ্রেষ্ঠত্ব, পবিত্রতা যদি আসমান-যমীন, কা’বা শরীফ, কুর্সী শরীফ এবং মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক থেকেও লক্ষ-কোটিগুণ বেশি হয়ে যায় এবং উনার সম্মানিত না’লাইন শরীফ উনার সাথে স্পর্শকৃত ধূলি-বালি মুবারক উনার পরশে যদি সম্মানিত আরশে আযীম আরো পবিত্রতা হাছিল করেন, সম্মানিত ও বরকতময় হন, তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সম্পৃক্ত সকল বিষয় মুবারক উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক কত বেমেছাল সেটা এখান থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ!
যাঁরা আক্বলমান্দ উনাদের জন্য আর কোনো দলীলের প্রয়োজন নেই। কিন্তু যারা সৃষ্টির সর্বনিকৃষ্ট জীব মুনাফিক্ব, উলামায়ে সূ’, ওহাবী, খারিজী, দেওবন্দী, লা-মাযহাবী ও বদ আক্বীদাধারী, বদ মাযহাবীদেরকে আরো শত-সহস্র, লক্ষ-কোটি দলীল দিলেও তারা কস্মিনকালেও বুঝবে না। কারণ তারা হচ্ছে চতুষ্পদ জন্তু তথা শূকর, কুকুরের চেয়েও অত্যধিক নিকৃষ্ট। নাঊযুবিল্লাহ!
যা হোক, এই কারণেই যিনি সম্মানিত হাম্বলী মাযহাব উনার সম্মানিত ইমাম হযরত ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সম্মানিত ফতওয়া মুবারক দিয়েছেন যে, ‘সম্মানিত লাইলাতুর রগইব শরীফ’ তথা সম্মানিত রজব মাস উনার পহেলা জুমুয়াহ শরীফ উনার রাত্রি মুবারক উনার মর্যাদা সম্মানিত শবে ক্বদর উনার থেকেও লক্ষ-কোটিগুণ বেশি। সুবহানাল্লাহ! কেননা সেই সম্মানিত রাত্রি মুবারক-এ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কুদরতীভাবে উনার সম্মানিত আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
আর মুজাদ্দিদে আ’যম সম্মানিত রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে সময়, দিন, রাত্রি, তারিখ, বার ও মাস মুবারক-এ সম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন সেই সম্মানিত সময়, দিন, রাত, বার, তারিখ ও মাস উনাদের ফযীলত অন্যান্য সমস্ত সময়, দিন, রাত, তারিখ, বার ও মাসের থেকে লক্ষ-কোটিগুণ বেশি এবং বেমেছাল সম্মানিত ও ফযীলতপ্রাপ্ত। সুবহানাল্লাহ!
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ ©
-আল্লামা মুহম্মদ ইবনে ছিদ্দীক্ব। আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net

Tuesday, December 1, 2015

মুজাদ্দিদে আ’যম হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম-উনার ক্বওল শরীফ
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ হতে এক মহান পবিত্র নূর মুবারক এসেছেন এবং একখানা সুস্পষ্ট পবিত্র কিতাব মুবারক এসেছেন।’

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বপ্রথম আমার নূর মুবারক সৃষ্টি করেন। আর সেই নূর মুবারক থেকেই সবকিছু সৃষ্টি করেন।’

সম্মানিত আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার ছহীহ আক্বীদা হলো-

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অবশ্যই ‘নূরে মুজাসসাম’ বা ‘আপাদমস্তক নূর’।

যারা ‘মাটির তৈরি’ বলে বিশ্বাস করে ও করবে এবং প্রচার করে ও করবে, তারা বাতিল ৭২ ফিরক্বার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কারণে গুমরাহ ও জাহান্নামী।

যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, জামিউল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, মাওলানা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ’ উনার ১৫ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ হতে এক মহান পবিত্র নূর মুবারক এসেছেন এবং একখানা সুস্পষ্ট পবিত্র কিতাব মুবারক এসেছেন।”

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বপ্রথম আমার পবিত্র নূর মুবারক সৃষ্টি করেন। আর সেই পবিত্র নূর মুবারক থেকেই সবকিছু সৃষ্টি করেন।”

উল্লিখিত পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে বর্ণিত ‘নূর’ শব্দ দ্বারা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকেই বুঝানো হয়েছে, যেহেতু তিনি ‘আপাদমস্তক নূর বা নূর মুবারক উনার দ্বারা তৈরি।’ সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ‘তাফসীরে আবী সাউদ’ কিতাব উনার ৩য় খ- ১৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, “বর্ণিত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার প্রথম শব্দ অর্থাৎ ‘পবিত্র নূর মুবারক’ দ্বারা উদ্দেশ্য হলেন- “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম তিনি; আর দ্বিতীয় শব্দ অর্থাৎ ‘কিতাবুম মুবীন’ দ্বারা উদ্দেশ্য হলেন- পবিত্র কুরআন শরীফ।” সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে, “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হয়ে যাক। আপনি আমাকে জানিয়ে দিন যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বপ্রথম কোন্ জিনিস সৃষ্টি করেছেন? তিনি বলেন, হে হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সবকিছুর পূর্বে আপনার নবী উনার নূর মুবারক সৃষ্টি করেছেন। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার প্রথম সৃষ্টিই হচ্ছেন ‘নূরে হাবীবী’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।” সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জিসিম (দেহ) মুবারক সৃষ্টির উপাদান হচ্ছে- “মূল নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।” যে ‘নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ তিনি হযরত আদম ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার থেকে হযরত খাজা আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মাধ্যম হয়ে হযরত মা আমিনা আলাইহাস সালাম উনার মধ্যে সম্পূর্ণ কুদরতীভাবে স্থান মুবারক নিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূল কথা হলো- পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের অসংখ্য দলীল-আদিল্লাহ দ্বারাই প্রমাণিত যে, আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ‘নূরে মুজাসসাম’ তথা আপাদমস্তক নূর মুবারক। আর এটাই সম্মানিত আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের ছহীহ আক্বীদা। কিন্তু যারা ‘মাটির তৈরি’ বলে বিশ্বাস করে ও করবে এবং প্রচার করে ও করবে, তারা বাতিল ৭২ ফিরক্বার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কারণে গুমরাহ ও নারি অর্থাৎ জাহান্নামী হবে।

█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net

আসন্ন পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে- নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তাসহ সার্বিক সাহায্য সহযোগিতা করা সরকারের জন্য ফরয

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- “আমার আগমন মূর্তি ও বাজনা ধ্বংস করার জন্য।”
অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- “গান-বাজনা মনের মধ্যে নেফাকী পয়দা করে।”
ইসলামী শরীয়ত উনার মধ্যে গান-বাজনা হারাম ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মুসলমান দেশে প্রকাশ্যে গান-বাজনা বা নৃত্যের আসর বসে কয়েক দিন পূর্বে মিরপুর স্টেডিয়ামে। উক্ত কনসার্টে অশ্লীল অর্ধনগ্ন-নগ্ন হয়ে নাচা-নাচিসহ যতসব হারাম কাজ সবই হয়েছে প্রকাশ্যে। এই হারাম কাজকে সরকার সমর্থন করেছে এবং সাহায্য-সহায়তা করেছে। সরকার ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। এই হারাম অশ্লীল ও বেহায়াপনা কাজে এত নিরাপত্তা!
অথচ প্রতিবছর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আসলে নিরাপত্তা তো দূরের কথা সরকারের তরফ থেকে অন্য কোনো সাহায্য-সহায়তাও পাওয়া যায় না। অথচ পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের বড় দ্বীনী উৎসব। এই দিন আমাদের প্রিয় রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দুনিয়াতে তাশরীফ মুবারক আনেন। এখন আমাদের দেখার বিষয়- সরকার যদি নিজেকে মুসলমান দাবি করে, তাহলে এর চেয়ে বহুগুণে নিরাপত্তাসহ সার্বিক
সহায়তা করে তা প্রমাণ করুক।
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌
-ফজলে রাব্বি। © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net

Monday, November 30, 2015

কুল-কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ, সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে মানুষ ভুলে গেলো কী করে?

আমরা ছোটবেলায় দেখেছি অনেক উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে মুসলমানগণ উনাদের শ্রেষ্ঠ ঈদ, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালিত হতো। স্কুল, কলেজে পবিত্র মীলাদ মাহফিলের জন্য বার্ষিক হাদিয়া নেয়া হতো এবং অনেক উৎসবমুখর পরিবেশে দিনটি পালন হতো।
কিন্তু হঠাৎ করে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে এসে দেখি কেউ আর আগের মতো দিনটি পালন করে না।
নতুন প্রজন্ম তো এমনিতেই দ্বীনী শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। উপরন্তু তাবলীগী, রাজাকার, জামাতী, দেওবন্দী ও খারিজীদের প্রভাব সমাজে বাড়তে থাকে, যারা পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধী। ফলে যা হবার তাই হয়েছে; ধীরে ধীরে সমাজ থেকে পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উঠে গেছে। নাউযুবিল্লাহ!
পঞ্চদশ হিজরী শতকের মহান মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি পুনরায় সমাজে পবিত্র মীলাদ শরীফ ও মুসলমানগণ উনাদের শ্রেষ্ঠ ঈদ, পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চেতনা সমাজে ফিরিয়ে আনছেন। তাই তো আজ পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতি ঘরে, মহল্লায় পালন করা শুরু হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
মূলত, কুল-কায়িনাতের সবার জন্যই পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ ও পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ অর্থাৎ সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয।
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌
-লে. কর্নেল মুহম্মদ আনোয়ার হুসাইন খান, পিএসসি (অব), ঢাকা। © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net