মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ছহীহ ও গ্রহণযোগ্য ফতওয়া হলো-
‘রোযা অবস্থায় যে কোনো ধরনের ইনজেকশন, স্যালাইন, ইনসুলিন ও ইনহেলার নেয়া হোক না কেন তাতে অবশ্যই রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে।’
‘রোযা অবস্থায় ইনজেকশন, স্যালাইন, ইনহেলার ও ইনসুলিন নিলে রোযা ভঙ্গ হয় না’- ধর্মব্যবসায়ী আলেম বা উলামায়ে ‘সূ’ ও অজ্ঞ ডাক্তারদের দেয়া এ ফতওয়া সম্পূর্ণরূপে অশুদ্ধ ও বিভ্রান্তিমূলক।
কারণ তাদের ফতওয়া সম্পূর্ণরূপেই মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাপবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের খিলাফ।
অতএব, তাদের উক্ত ফতওয়া কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়; বরং পরিপূর্ণরূপে পরিত্যাজ্য।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ঔষধ মূল রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করুক অথবা মূল রাস্তা ব্যতীত অন্য যে কোনো স্থান দিয়েই প্রবেশ করুক না কেন, যদি মগজ অথবা পেটে পৌঁছে, তবে রোযা অবশ্যই ভঙ্গ হয়ে যাবে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে ইনজেকশনের দ্বারা প্রবেশকৃত ওষুধ পাকস্থলী ও মগজে পৌঁছে থাকে। আর মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার বিধান হলো, পাকস্থলী বা মগজে কিছু প্রবেশ করলেই রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে; তা যেভাবে এবং যে স্থান দিয়েই প্রবেশ করুক না কেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এর স্বপক্ষে ফিক্বাহ ও ফতওয়ার নির্ভরযোগ্য কিতাবসমূহের অসংখ্য দলীল বিদ্যমান রয়েছে। যেমন, “হেদায়া মা’য়াদ দেরায়া” কিতাব উনার ১ম খণ্ডের ২২০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, “এবং যদি কোনো ব্যক্তি ইনজেকশন নেয়.... তাহলে রোযা ভঙ্গ হবে। কারণ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, কিছু ভিতরে প্রবেশ করলে রোযা ভঙ্গ হবে।”
“বাহরুর রায়েক” কিতাব উনার ২য় খণ্ডের ২৭৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, “যদি কোনো ব্যক্তি ইনজেকশন নেয়... তাহলে রোযা ভঙ্গ হবে। কারণ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, কিছু ভিতরে প্রবেশ করলে রোযা ভঙ্গ হবে এবং বের হলে রোযা ভঙ্গ হবে না।”
“ফতওয়ায়ে আলমগীরী” কিতাব উনার ১ম খণ্ডের ২০৪ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, “এবং যদি কোনো ব্যক্তি ইনজেকশন নেয়..... তাহলে রোযা ভঙ্গ হবে।” অনুরূপ “ফতওয়ায়ে শামী” কিতাবেও উল্লেখ আছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কম ইলম ও কম সমঝের কারণে কোনো কোনো ধর্মব্যবসায়ী আলেম বা উলামায়ে ‘সূ’ বা ডাক্তার তারা বলে থাকে যে, উল্লিখিত ফিক্বাহর কিতাবসমূহে যে ‘হুকনা’ বা ‘ইহতাক্বানা’ শব্দ উল্লেখ আছে তার অর্থ ইনজেকশন নয়; বরং তার অর্থ হলো ‘ডুশ বা সাপোজিটর’, যা পায়ুপথে দেয়া হয়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলত তাদের উক্ত বক্তব্য চরম অজ্ঞতা, মূর্খতা, প্রতারণা ও গুমরাহীমূলক; যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ সমস্ত আরবী কিতাব ও অভিধানগ্রন্থে ‘হুকনা’ বা ‘ইহতাক্বানা’ শব্দের অর্থ সরাসরি ইনজেকশন বা সিরিঞ্জ বলে উল্লেখ আছে। যেমন, আরবী-উর্দু অভিধান ‘কামুস আল জাদীদ’ গ্রন্থে উল্লেখ আছে, ‘হুকনাতুন- অর্থ ইনজেকশন, সিরিঞ্জ।’ ‘আধুনিক আরবী-বাংলা’ অভিধান গ্রন্থে উল্লেখ আছে, ‘ইহতাক্বানুন’ অর্থ ইনজেকশন এবং সরাসরি ইহতাক্বানা ‘ইনজেকশন নেয়া’ শব্দটিও উল্লেখ রয়েছে। এমনিভাবে সমস্ত লোগাত বা অভিধানগ্রন্থে ‘ইহতাক্বানা’ শব্দের অর্থ ইনজেকশন বলে উল্লেখ রয়েছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বস্তুত যারা রোযা অবস্থায় ইনজেকশন নেয়ার পক্ষে বলে, তারা তাদের বক্তব্যের স্বপক্ষে পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ থেকে একটি দলীলও পেশ করতে পারবে না। তারা তাদের বক্তব্যের স্বপক্ষে যে সকল দেওবন্দী কিতাবের নাম উল্লেখ করছে, যেমন ইমদাদুল ফতওয়া, আপকে মাসায়িল, আহসানুল ফতওয়া, ফতওয়ায়ে রহিমিয়া, ফতওয়ায়ে মাহমুদিয়া- এসকল কিতাবগুলো দেওবন্দীদের নিজস্ব লেখা; যা সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য নয়। তাছাড়া তাদের উক্ত কিতাবের অনেক বক্তব্যই বিশ্বখ্যাত ও সর্বজনমান্য কিতাবের বিপরীত। অর্থাৎ যে সমস্ত কিতাব সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য ও অনুসরণীয় এবং বিশ্বখ্যাত সে সমস্ত ফিক্বাহ শরীফ উনার কিতাব, যেমন হিদায়া, বাহরুর রায়িক্ব, ফতওয়ায়ে আলমগীরী, ফতওয়ায়ে শামী, ফতহুল ক্বাদীর ইত্যাদি সর্বজনমান্য কিতাবের বক্তব্যের বিপরীত হওয়ায় তা সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাজ্য।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, রোযা অবস্থায় ইনজেকশন, স্যালাইন, ইনহেলার, ইনসুলিন নেয়া হারাম ও রোযা ভঙ্গের কারণ এবং এর সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ উনার ২১ ও ২২তম সংখ্যায় থানভীর ‘ইমদাদুল ফতওয়ায়’ ইনজেকশন সম্পর্কিত প্রদত্ত ফতওয়াটির ভুল খন্ডন করতঃ বিস্তারিত দলীল-আদিল্লাহ উল্লেখ করা হয়েছে; যা হক্ব তালাশীদের জন্য যথেষ্ট।
-০-
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
Wednesday, July 2, 2014
আজ সুমহান বরকতময় পবিত্র ৩রা রমাদ্বান শরীফ- সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার সুমহান পবিত্র বিছাল শরীফ উনার বরকতময় দিন।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি আমার জিসিম মুবারক উনার একখানা টুকরা মুবারক।’
আজ সুমহান বরকতময় পবিত্র ৩রা রমাদ্বান শরীফ-
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার সুমহান পবিত্র বিছাল শরীফ উনার বরকতময় দিন।
সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মাহর জন্য ফরয হচ্ছে-
এ উপলক্ষে পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ ও পবিত্র ওয়াজ শরীফ মাহফিল উনাদের আয়োজন করে উনার পবিত্র সাওয়ানেহে উমরী মুবারক বেশি বেশি আলোচনা করা।
আর সারাবিশ্বের মুসলিম-অমুসলিম সকল সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে-
উনার পবিত্র জীবনী মুবারক সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা এবং উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করার পাশাপাশি উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস পালনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, ত্বহিরা, ত্বইয়িবা, উম্মু আবীহা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি বিশ্বের সকল মহিলাগণ উনাদের সাইয়্যিদা, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার লখতে জিগার, সাইয়্যিদুনা ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাইয়্যিদুনা ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সম্মানিতা মাতা, তিনি বিনতু নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং উনার সর্বপ্রথম আহলিয়া উম্মুল মু’মিনীন হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার চারজন বানাত উনাদের একজন। মূলত, তিনি হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতমা। তাই সকল মুসলমানগণ তো অবশ্যই, অমুসলিমদের জন্যও ফরয হচ্ছে- উনাকে মুহব্বত করা, উনার জীবনী মুবারক জানা, উনাকে প্রতিক্ষেত্রে অনুসরণ-অনুকরণ করা এবং সর্বত্র উনার বেশি বেশি আলোচনা করা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “(হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি বলে দিন, আমি তোমাদের নিকট কোনো বিনিময় চাচ্ছি না। আর চাওয়াটাও স্বাভাবিক নয়; তোমাদের পক্ষে দেয়াও কস্মিনকালে সম্ভব নয়। তবে তোমরা যদি ইহকাল ও পরকালে হাক্বীক্বী কামিয়াবী হাছিল করতে চাও; তাহলে তোমাদের জন্য ফরয হচ্ছে আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করা, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা, উনাদের খিদমত মুবারক উনার আনজাম দেয়া।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে যে নিয়ামত মুবারক দান করেন তার জন্য মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত করো। আর আমাকে মুহব্বত করো মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত ও সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করার জন্য। আর আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করো আমার মুহব্বত ও সন্তুষ্টি মুবারক লাভের জন্য।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো উল্লেখ আছে “হযরত মিসওয়ার ইবনে মাখরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত; নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, ত্বহিরা, ত্বইয়িবা, উম্মু আবীহা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি আমার দেহ মুবারক উনারই একখানা টুকরা মুবারক। যে উনাকে রাগান্বিত করবে, সে আমাকেই রাগান্বিত করলো।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, ত্বহিরা, ত্বইয়িবা, উম্মু আবীহা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিছাল শরীফ উনার পরে মাত্র ছয় মাস যমীনে ছিলেন। তিনি হিজরী ১১ সনের পবিত্র ৩রা রমাদ্বান শরীফ, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ বাদ-আছর পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। আজই হচ্ছে সেই সুমহান বরকতময় পবিত্র ৩রা রমাদ্বান শরীফ। উনার পবিত্র ছলাতুল জানাযা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি পড়ান। উনার পবিত্র রওযা শরীফ পবিত্র জান্নাতুল বাক্বীতে অবস্থিত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আশ্চর্যের বিষয় হলো- ৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশ- বাংলাদেশের মাদরাসা, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে উনার সম্পর্কে কোনো আলোচনাই নেই। তাহলে মুসলমানগণ কী করে উনার শান-মান, মর্যাদা-মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত জানবে এবং উনাকে হাক্বীক্বীভাবে মুহব্বত করবে? তাই সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশ- বাংলাদেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাস বা পাঠ্যপুস্তকে উনার পবিত্র জীবনী মুবারক অন্তর্ভুক্ত করা। মাসব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজন করা ও উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা।
-০-
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
আজ সুমহান বরকতময় পবিত্র ৩রা রমাদ্বান শরীফ-
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার সুমহান পবিত্র বিছাল শরীফ উনার বরকতময় দিন।
সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মাহর জন্য ফরয হচ্ছে-
এ উপলক্ষে পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ ও পবিত্র ওয়াজ শরীফ মাহফিল উনাদের আয়োজন করে উনার পবিত্র সাওয়ানেহে উমরী মুবারক বেশি বেশি আলোচনা করা।
আর সারাবিশ্বের মুসলিম-অমুসলিম সকল সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে-
উনার পবিত্র জীবনী মুবারক সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা এবং উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করার পাশাপাশি উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবস পালনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, ত্বহিরা, ত্বইয়িবা, উম্মু আবীহা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি বিশ্বের সকল মহিলাগণ উনাদের সাইয়্যিদা, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার লখতে জিগার, সাইয়্যিদুনা ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাইয়্যিদুনা ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সম্মানিতা মাতা, তিনি বিনতু নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং উনার সর্বপ্রথম আহলিয়া উম্মুল মু’মিনীন হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার চারজন বানাত উনাদের একজন। মূলত, তিনি হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতমা। তাই সকল মুসলমানগণ তো অবশ্যই, অমুসলিমদের জন্যও ফরয হচ্ছে- উনাকে মুহব্বত করা, উনার জীবনী মুবারক জানা, উনাকে প্রতিক্ষেত্রে অনুসরণ-অনুকরণ করা এবং সর্বত্র উনার বেশি বেশি আলোচনা করা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “(হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি বলে দিন, আমি তোমাদের নিকট কোনো বিনিময় চাচ্ছি না। আর চাওয়াটাও স্বাভাবিক নয়; তোমাদের পক্ষে দেয়াও কস্মিনকালে সম্ভব নয়। তবে তোমরা যদি ইহকাল ও পরকালে হাক্বীক্বী কামিয়াবী হাছিল করতে চাও; তাহলে তোমাদের জন্য ফরয হচ্ছে আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করা, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা, উনাদের খিদমত মুবারক উনার আনজাম দেয়া।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে যে নিয়ামত মুবারক দান করেন তার জন্য মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত করো। আর আমাকে মুহব্বত করো মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত ও সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করার জন্য। আর আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করো আমার মুহব্বত ও সন্তুষ্টি মুবারক লাভের জন্য।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো উল্লেখ আছে “হযরত মিসওয়ার ইবনে মাখরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত; নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, ত্বহিরা, ত্বইয়িবা, উম্মু আবীহা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি আমার দেহ মুবারক উনারই একখানা টুকরা মুবারক। যে উনাকে রাগান্বিত করবে, সে আমাকেই রাগান্বিত করলো।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, ত্বহিরা, ত্বইয়িবা, উম্মু আবীহা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিছাল শরীফ উনার পরে মাত্র ছয় মাস যমীনে ছিলেন। তিনি হিজরী ১১ সনের পবিত্র ৩রা রমাদ্বান শরীফ, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ বাদ-আছর পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। আজই হচ্ছে সেই সুমহান বরকতময় পবিত্র ৩রা রমাদ্বান শরীফ। উনার পবিত্র ছলাতুল জানাযা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি পড়ান। উনার পবিত্র রওযা শরীফ পবিত্র জান্নাতুল বাক্বীতে অবস্থিত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আশ্চর্যের বিষয় হলো- ৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশ- বাংলাদেশের মাদরাসা, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে উনার সম্পর্কে কোনো আলোচনাই নেই। তাহলে মুসলমানগণ কী করে উনার শান-মান, মর্যাদা-মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত জানবে এবং উনাকে হাক্বীক্বীভাবে মুহব্বত করবে? তাই সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশ- বাংলাদেশের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাস বা পাঠ্যপুস্তকে উনার পবিত্র জীবনী মুবারক অন্তর্ভুক্ত করা। মাসব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজন করা ও উনার পবিত্র বিছাল শরীফ দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা।
-০-
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
Monday, June 30, 2014
মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস হচ্ছে শাহরুন আযীম অর্থাৎ মহা সম্মানিত মাস।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ মাস রমাদ্বান শরীফ উনাকে সম্মান করবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে পবিত্র জান্নাত দিয়ে এবং জাহান্নাম থেকে নাযাত দিয়ে সম্মানিত করবেন।’ সুবহানাল্লাহ!
মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস হচ্ছে শাহরুন আযীম অর্থাৎ মহা সম্মানিত মাস।
‘যে ব্যক্তি মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে একটি নফল আমল করবে, সে অন্য মাসের একটি ফরয আদায় করার ফযীলত পাবে, আর যে ব্যক্তি একটি ফরয আদায় করবে, সে অন্য মাসে সত্তরটি ফরয আদায় করার ফযীলত লাভ করবে।’ সুবহানাল্লাহ!
যে ব্যক্তি এ মহাপবিত্র মাসে কোনো রোযাদারকে ইফতার করাবে, এটা তার জন্যে গুনাহ মাফ ও দোযখের আগুন হতে নাজাতের কারণস্বরূপ হবে। আর সে রোযাদারের সমান ছওয়াব পাবে, অথচ রোযাদারের ছওয়াবও কম হবে না। সুবহানাল্লাহ!
তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার পবিত্রতা রক্ষা ও হক্ব যথাযথ আদায় করত: মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দি বা সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করা।
যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার হক্ব ও ফযীলত সম্পর্কে বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত সালমান ফারসী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র শা’বান মাস উনার শেষ দিন আমাদের নিকট খুতবা মুবারক দিতেন বা ওয়াজ শরীফ করতেন। (উক্ত খুতবা মুবারক-এ) তিনি বলেন, “হে লোক সকল! নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট এক মহান মাস (মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস) উপস্থিত। যে মাসটি অত্যান্ত বরকতময়; এ মাসে এমন একটি মুবারক রাত্র রয়েছে, যা হাজার মাস থেকেও উত্তম। মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার দিনের বেলায় রোযাকে ফরয করেছেন ও মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার রাত্রি বেলায় পবিত্র কিয়ামুল লাইল অর্থাৎ পবিত্র তারাবীহ নামায উনাকে সুন্নত মুবারক করেছেন। অন্য মাসে একটি ফরয আদায় করলে যে পরিমাণ ফযীলত লাভ করবে মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে একটি নফল করলে সে পরিমাণ ফযীলত লাভ করবে। আর অন্য মাসে সত্তরটি ফরয আদায় করলে যে পরিমাণ ফযীলত লাভ করবে মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে একটি ফরয আদায় করলে সে পরিমাণ ফযীলত লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে, মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস হলো ছবরের মাস, আর ছবর উনার বিনিময় হলো জান্নাত, এটা সহানুভূতির মাস। এটা এমন মাস, যে মাসে মু’মিনের রিযিক বৃদ্ধি করা হয়। যে ব্যক্তি এ মাসে কোনো রোযাদারকে ইফতার করাবে, এটা তার জন্যে গুনাহ মাফ ও দোযখের আগুন হতে নাজাতের কারণস্বরূপ হবে। আর সে রোযাদারের সমান সাওয়াব পাবে, অথচ রোযাদারের সাওয়াবও কম হবে না। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাদের প্রত্যেকের তো এমন সামর্থ্য নেই, যা দ্বারা আমরা রোযাদারকে ইফতার করাবো। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, ‘মহান আল্লাহ পাক তিনি এ ছাওয়াব দান করবেন তাকে, যে এক চুমুক দুধ দ্বারা অথবা একটি খেজুর বা খোরমা দ্বারা অথবা এক চুমুক পানি বা সরবত দ্বারা কোনো রোযাদারকে ইফতার করাবে। আর যে ব্যক্তি তৃপ্তি সহকারে রোযাদারকে খাদ্য খাওয়াবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে আমার পবিত্র হাউজে কাওছার হতে পানি পান করাবেন, যার কারণে জান্নাতে প্রবেশ করা পর্যন্ত তার পিপাসা লাগবে না।’ ওটা এমন এক মাস, যে মাসের প্রথম দশদিন “রহমত” দ্বিতীয় দশদিন “মাগফিরাত” আর তৃতীয় দশদিন হচ্ছে জাহান্নাম হতে নাযাত পাওয়ার”। আর যে ব্যক্তি মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার মধ্যে তার কর্মচারীর কাজ কমায়ে দিবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে ক্ষমা করবেন ও জাহান্নাম থেকে নাযাত দিবেন।” সুবহানাল্লাহ! (বায়হাক্বী ফি শুয়াবিল ঈমান)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস হচ্ছে শাহরুন আযীম অর্থাৎ মহা সম্মানিত মাস। এ মাস উনার প্রথম দশ দিন রহমত, দ্বিতীয় দশ দিন মাগফিরাত ও তৃতীয় দশ দিন নাযাতের। প্রত্যেকের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার পবিত্রতা রক্ষা ও হক্ব যথাযথ আদায় করত: অর্থাৎ নিজে রোযা রেখে, রোযাদারদের ইফতারী করিয়ে, তারাবীহ নামায আদায় করে, শ্রমিকের ডিউটি কমিয়ে দিয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দি বা সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করা।
-০-
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net
মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস হচ্ছে শাহরুন আযীম অর্থাৎ মহা সম্মানিত মাস।
‘যে ব্যক্তি মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে একটি নফল আমল করবে, সে অন্য মাসের একটি ফরয আদায় করার ফযীলত পাবে, আর যে ব্যক্তি একটি ফরয আদায় করবে, সে অন্য মাসে সত্তরটি ফরয আদায় করার ফযীলত লাভ করবে।’ সুবহানাল্লাহ!
যে ব্যক্তি এ মহাপবিত্র মাসে কোনো রোযাদারকে ইফতার করাবে, এটা তার জন্যে গুনাহ মাফ ও দোযখের আগুন হতে নাজাতের কারণস্বরূপ হবে। আর সে রোযাদারের সমান ছওয়াব পাবে, অথচ রোযাদারের ছওয়াবও কম হবে না। সুবহানাল্লাহ!
তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার পবিত্রতা রক্ষা ও হক্ব যথাযথ আদায় করত: মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দি বা সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করা।
যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার হক্ব ও ফযীলত সম্পর্কে বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত সালমান ফারসী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র শা’বান মাস উনার শেষ দিন আমাদের নিকট খুতবা মুবারক দিতেন বা ওয়াজ শরীফ করতেন। (উক্ত খুতবা মুবারক-এ) তিনি বলেন, “হে লোক সকল! নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট এক মহান মাস (মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস) উপস্থিত। যে মাসটি অত্যান্ত বরকতময়; এ মাসে এমন একটি মুবারক রাত্র রয়েছে, যা হাজার মাস থেকেও উত্তম। মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার দিনের বেলায় রোযাকে ফরয করেছেন ও মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার রাত্রি বেলায় পবিত্র কিয়ামুল লাইল অর্থাৎ পবিত্র তারাবীহ নামায উনাকে সুন্নত মুবারক করেছেন। অন্য মাসে একটি ফরয আদায় করলে যে পরিমাণ ফযীলত লাভ করবে মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে একটি নফল করলে সে পরিমাণ ফযীলত লাভ করবে। আর অন্য মাসে সত্তরটি ফরয আদায় করলে যে পরিমাণ ফযীলত লাভ করবে মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে একটি ফরয আদায় করলে সে পরিমাণ ফযীলত লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে, মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস হলো ছবরের মাস, আর ছবর উনার বিনিময় হলো জান্নাত, এটা সহানুভূতির মাস। এটা এমন মাস, যে মাসে মু’মিনের রিযিক বৃদ্ধি করা হয়। যে ব্যক্তি এ মাসে কোনো রোযাদারকে ইফতার করাবে, এটা তার জন্যে গুনাহ মাফ ও দোযখের আগুন হতে নাজাতের কারণস্বরূপ হবে। আর সে রোযাদারের সমান সাওয়াব পাবে, অথচ রোযাদারের সাওয়াবও কম হবে না। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাদের প্রত্যেকের তো এমন সামর্থ্য নেই, যা দ্বারা আমরা রোযাদারকে ইফতার করাবো। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, ‘মহান আল্লাহ পাক তিনি এ ছাওয়াব দান করবেন তাকে, যে এক চুমুক দুধ দ্বারা অথবা একটি খেজুর বা খোরমা দ্বারা অথবা এক চুমুক পানি বা সরবত দ্বারা কোনো রোযাদারকে ইফতার করাবে। আর যে ব্যক্তি তৃপ্তি সহকারে রোযাদারকে খাদ্য খাওয়াবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে আমার পবিত্র হাউজে কাওছার হতে পানি পান করাবেন, যার কারণে জান্নাতে প্রবেশ করা পর্যন্ত তার পিপাসা লাগবে না।’ ওটা এমন এক মাস, যে মাসের প্রথম দশদিন “রহমত” দ্বিতীয় দশদিন “মাগফিরাত” আর তৃতীয় দশদিন হচ্ছে জাহান্নাম হতে নাযাত পাওয়ার”। আর যে ব্যক্তি মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার মধ্যে তার কর্মচারীর কাজ কমায়ে দিবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে ক্ষমা করবেন ও জাহান্নাম থেকে নাযাত দিবেন।” সুবহানাল্লাহ! (বায়হাক্বী ফি শুয়াবিল ঈমান)
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- মহাপবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস হচ্ছে শাহরুন আযীম অর্থাৎ মহা সম্মানিত মাস। এ মাস উনার প্রথম দশ দিন রহমত, দ্বিতীয় দশ দিন মাগফিরাত ও তৃতীয় দশ দিন নাযাতের। প্রত্যেকের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার পবিত্রতা রক্ষা ও হক্ব যথাযথ আদায় করত: অর্থাৎ নিজে রোযা রেখে, রোযাদারদের ইফতারী করিয়ে, তারাবীহ নামায আদায় করে, শ্রমিকের ডিউটি কমিয়ে দিয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দি বা সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করা।
-০-
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net