Pages

Tuesday, May 27, 2014

আজ সুমহান বরকতময় ২৭শে রজবুল হারাম। অর্থাৎ পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার বরকতপূর্ণ দিন। পবিত্র মি’রাজ শরীফ বিশ্বাস করা ও যথাযোগ্য মর্যাদায় পবিত্র মি’রাজ শরীফ উদযাপন করা সকলের জন্যই ফরয।

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘মহান আল্লাহ পাক যিনি উনার বান্দা (হাবীব) ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কোনো এক রাতের সামান্য সময়ে (প্রথমে) বাইতুল্লাহ শরীফ থেকে বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ পর্যন্ত, যার আশপাশ বরকতময়; অতঃপর উনার নিদর্শনসমূহ দেখানোর জন্য অর্থাৎ দীদার মুবারক আরশে আযীমে দেয়ার জন্য ভ্রমণ করিয়েছেন। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।’
আজ সুমহান বরকতময় ২৭শে রজবুল হারাম। অর্থাৎ পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার বরকতপূর্ণ দিন।
পবিত্র মি’রাজ শরীফ বিশ্বাস করা ও যথাযোগ্য মর্যাদায় পবিত্র মি’রাজ শরীফ উদযাপন করা সকলের জন্যই ফরয।

বাংলাদেশসহ প্রত্যেক মুসলিম ও অমুসলিম দেশের সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য ছিলো- পবিত্র মি’রাজ শরীফ উদযাপনে ব্যাপক ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং পবিত্র মি’রাজ শরীফ উপলক্ষে বাধ্যতামূলক ছুটি ঘোষণা করা।

যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “আজ সুমহান বরকতময় ২৭শে রজবুল হারাম। অর্থাৎ পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার বরকতপূর্ণ দিন। পবিত্র মি’রাজ শরীফ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল ফাযায়িল-ফযীলতসমূহ উনাদের মধ্য হতে একটি বিশেষ ফাযায়িল-ফযীলত; যা বিশ্বাস করা ও যথাযোগ্যভাবে উদযাপন করা প্রত্যেক মুসলমান উনাদের জন্য ফরয। আর পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনাকে অস্বীকার ও অবজ্ঞা করা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।”
সুমহান বরকতময় ২৭শে রজবুল হারাম অর্থাৎ পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার বরকতময় দিন উনার মর্যাদা, মর্তবা ও গুরুত্ব বুঝাতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মি’রাজ শব্দের শব্দগত অর্থ হলো সিঁড়ি। আর এখানে পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার অর্থ হচ্ছে ঊর্ধ্বারোহণ। পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহান আল্লাহ পাক উনার যে পবিত্র সাক্ষাৎ বা দীদার মুবারক হয়েছে আনুষ্ঠানিকভাবে উহাই পবিত্র মি’রাজ শরীফ। সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আজ সেই পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার বরকতময় দিন। তাই প্রত্যেক মুসলমান উনাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, এ পবিত্র দিনে রোযা রাখা, পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ ও দোয়া-মুনাজাতের মাহফিল করে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছানা-ছিফত মুবারক বর্ণনা করা।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ প্রতিটি মুসলিম দেশের সরকারেরই উচিত ছিলো পবিত্র মি’রাজ শরীফ উপলক্ষে বাধ্যতামূলক সরকারি ছুটি ঘোষণা করা এবং পবিত্র মি’রাজ শরীফ উদযাপনে ব্যাপক ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। কিন্তু আশ্চর্যজনক বিষয় যে, ৯৭ ভাগ মুসলমান ও রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম উনার দেশের সরকার এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি। নাউযুবিল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- আজ সুমহান বরকতময় ২৭শে রজবুল হারাম। অর্থাৎ পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার বরকতপূর্ণ দিন। পবিত্র মি’রাজ শরীফ বিশ্বাস করা ও যথাযোগ্য মর্যাদায় পবিত্র মি’রাজ শরীফ উদযাপন করা সকলের জন্যই ফরয। বাংলাদেশসহ প্রত্যেক মুসলিম ও অমুসলিম দেশের সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য ছিলো- পবিত্র মি’রাজ শরীফ উদযাপনে ব্যাপক ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং পবিত্র মি’রাজ শরীফ উপলক্ষে বাধ্যতামূলক ছুটি ঘোষণা করা।
-০-

█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net

Monday, May 26, 2014

আজ পবিত্র ২৬শে রজবুল হারাম ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম বা সোমবার শরীফ দিবাগত রাতটিই পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার বরকতময় রাত।

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘মহান আল্লাহ পাক যিনি উনার বান্দা (হাবীব) ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কোনো এক রাতের সামান্য সময়ে (প্রথমে) বাইতুল্লাহ শরীফ থেকে বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ পর্যন্ত, যার আশপাশ বরকতময়; অতঃপর উনার নিদর্শনসমূহ দেখানোর জন্য অর্থাৎ দীদার মুবারক আরশে আযীমে দেয়ার জন্য ভ্রমণ করিয়েছেন। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।’
আজ পবিত্র ২৬শে রজবুল হারাম ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম বা সোমবার শরীফ দিবাগত রাতটিই পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার বরকতময় রাত।
প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা, ছেলে-মেয়ে সকলের জন্যই দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, এ বরকতময় রাতে ইবাদত-বন্দেগী, তওবা-ইস্তিগফার, পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ ও দোয়া-মুনাজাত করা এবং পরের দিন অর্থাৎ ইয়াওমুছ ছুলাছা বা মঙ্গলবার দিনে রোযা রাখা।

আর বাংলাদেশসহ প্রত্যেক মুসলিম ও অমুসলিম দেশের সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, পবিত্র মি’রাজ শরীফ উপলক্ষে ঐচ্ছিক নয়; বরং বাধ্যতামূলক ছুটি ঘোষণা করা।

যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “পবিত্র মি’রাজ শরীফ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক উনার মধ্য হতে একটি বিশেষ ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক; যা বিশ্বাস করা প্রত্যেক মুসলমান উনাদের জন্য ফরয। আর অস্বীকার ও অবজ্ঞা করা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মি’রাজ শরীফ জিসমানী বা সশরীর মুবারক-এ হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দুনিয়াবী হিসেবে ৫১তম বয়স মুবারক-এ ২৬শে রজবুল হারাম ইয়াওমুল আহাদি বা রোববার দিবাগত রাত্রে অর্থাৎ ২৭শে রজবুল হারাম ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ রাত্রে পবিত্র কা’বা শরীফ থেকে পবিত্র বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফ, সেখান থেকে ছিদরাতুল মুনতাহা হয়ে পবিত্র আরশে মুয়াল্লায় মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে মুবারক সাক্ষাৎ করে আবার যমীনে তাশরীফ আনেন। যা বিশিষ্ট ৪৫ জন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বর্ণনা করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার শব্দগত অর্থ হলো- সিঁড়ি আর শরঈ পরিভাষায় অর্থ হলো- ঊর্ধ্বারোহণ। ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহান আল্লাহ পাক উনার যে সাক্ষাৎ বা দীদার মুবারক হয়েছে আনুষ্ঠানিকভাবে উহাই পবিত্র মি’রাজ শরীফ। সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আজ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম বা সোমবার শরীফ দিবাগত রাতটিই সেই পবিত্র শবে মি’রাজ শরীফ। তাই প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা, ছেলে-মেয়ে সকলের জন্যই দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, এ বরকতময় রাত্রিতে ইবাদত-বন্দেগী, তওবা-ইস্তিগফার, পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ ও দোয়া-মুনাজাত করা এবং পরের দিন অর্থাৎ ইয়াওমুছ ছুলাছা বা মঙ্গলবার দিনে রোযা রাখা। পবিত্র রজব মাস উনার ২৭ তারিখে রোযা রাখার ফযীলত সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যে ব্যক্তি ২৭শে রজব দিনে রোযা রাখবে মহান আল্লাহ পাক তিনি তার আমলনামায় ষাট মাস তথা পাঁচ বছর রোযা রাখার ফযীলত লিখে দিবেন।” সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র রজবুল হারাম মাস এমনিতেই সম্মানিত মাস। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যে ব্যক্তি এ পবিত্র মাস উনার কোনো এক রাতে ইবাদত করবে সে এক বছর রাতে ইবাদত করার ছওয়াব পাবে। আর একদিন রোযা রাখলে এক বছর দিনে রোযা রাখার ফযীলত পাবে।” সুবহানাল্লাহ! সে বরকতময় রাতে যারা খাছ ইয়াক্বীনের সাথে দোয়া করবে তাদের প্রত্যেকটা দোয়াই কবুল হবে। সুবহানাল্লাহ! আমরা আজ দিনগত রাত্রে আমাদের সুন্নতী জামে মসজিদে পবিত্র মাহফিল শেষে পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ উনার পর খাছ দোয়া ও মুনাজাত করবো ইনশাআল্লাহ।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যেহেতু পবিত্র শবে মি’রাজ শরীফ উনার সাথে রাতে ইবাদত-বন্দেগী করা ও দিনে রোযা রাখা তথা আমলের সম্পর্ক রয়েছে। তাই মহাসম্মানিত ও পবিত্র ইসলাম উনার দৃষ্টিতে বাংলাদেশসহ প্রতিটি মুসলিম সরকারেরই উচিত পবিত্র শবে মি’রাজ শরীফ উপলক্ষে দেশে বাধ্যতামূলক সরকারি ছুটি ঘোষণা করা এবং পবিত্র শবে মি’রাজ শরীফ পালনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
-০-

█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net