Pages

Thursday, March 1, 2012

“নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক প্রত্যেক হিজরী শতকের শুরুতে একজন মুজাদ্দিদ প্রেরণ করবেন যিনি দ্বীনের তাজদীদ করবেন।”




নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এ উম্মতের হিদায়েতের জন্য প্রত্যেক হিজরী শতকের শুরুতে একজন মুজাদ্দিদ পাঠাবেন। যিনি দ্বীনের তাজদীদ করবেন।’
গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিলেন উনার যামানার মুজাদ্দিদ এবং ‘মুহিউদ্দীন’ বা দ্বীন জিন্দাকারী।
তাই প্রত্যেকের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক জানা ও উনাকে মুহব্বত, অনুসরণ, অনুকরণ করা।
আর সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- মাদরাসা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে উনার জীবনী মুবারক অন্তর্ভুক্ত করা।


যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “মু’মিনদের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার ইহসান যে, তাদের (হিদায়েতের জন্য) একজন রসূল পাঠানো হয়েছে। যিনি তাদেরকে (মু’মিনদেরকে) তিলাওয়াত করে শুনাবেন। তাদেরকে তাযকিয়া (পরিশুদ্ধ) করবেন, কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দিবেন।” আর আবূ দাউদ শরীফ-এর হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক প্রত্যেক হিজরী শতকের শুরুতে একজন মুজাদ্দিদ প্রেরণ করবেন যিনি দ্বীনের তাজদীদ করবেন।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে কিতাবে উল্লেখ আছে যে, গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনি একদিন সফর থেকে বাগদাদ শহরে প্রবেশ করবেন তখন শহরের দ্বারপ্রান্তে দেখলেন একজন জীর্ণ-শীর্ণ দুর্বল ও কুৎসিত ব্যক্তি রাস্তার পাশে এক প্রকার অর্ধমৃত অবস্থায় পড়ে আছে। সে গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি, উনাকে দেখে বললো: আমাকে ধরুন এবং সাহায্য করুন। গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি যখনই তার হাত ধরে তাকে উঠালেন তখনই সে সম্পূর্ণ সুস্থ, সবল ও সুঠাম দেহের অধিকারী একজন খুবছুরত যুবক হয়ে গেল। গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, হে ব্যক্তি একটু আগে আপনি ছিলেন দুর্বল ও জীর্ণ-শীর্ণ দেহের অধিকারী মৃতপ্রায় আর আমি আপনাকে স্পর্শ করা মাত্রই আপনি সম্পূর্ণ সুস্থ সবল ও খুবছুরত যুবক হয়ে গেলেন তার কি কারণ? সে বললো: হে গাউছুল আ’যম! আমি কোনো জিন, ইনসান বা ফেরেশতা নই। আমি হলাম “দ্বীন ইসলাম” এ যামানার উলামায়ে ‘ছূ’ বা ধর্মব্যবসায়ীরা ইসলাম সম্পর্কে মনগড়া কথা বলে মনগড়া আমল করে এবং ইসলামের অপব্যাখ্যা করে ও ইসলাম নিয়ে ব্যবসা করে আমাকে দুর্বল করে দিয়েছে। মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনাকে পাঠিয়ে আপনার উসীলায় আমাকে আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দিবেন। অর্থাৎ পুনর্জীবিত করবেন, তাই আজ থেকে আপনার লক্বব বা উপাধি হচ্ছে ‘মুহিউদ্দীন’ বা দ্বীন জিন্দাকারী। তখন থেকেই তিনি ‘মুহিউদ্দীন’ নামে মশহুর হয়ে যান। সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলত গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- খলীফাতুল্লাহ ও খলীফাতু রসূলিল্লাহ হিসেবে মানুষকে তাযকিয়া বা পরিশুদ্ধ করার জন্য এবং উলামায়ে ছূ’দের বদ আক্বীদা, বা আমল ও মনগড়া কুফরী ফতওয়ার কারণে দ্বীনের ভিতর প্রবেশকৃত সকল কুফর, শিরক ও বিদয়াত বেশরা দূর করে দ্বীন ইসলামকে তাজদীদ বা পুনর্জীবিত করার জন্য যমীনে পাঠিয়েছেন। তিনি যমীনে তাশরীফ এনে মানুষকে তাযকিয়া বা পরিশুদ্ধ করেছেন এবং দ্বীনকে যিন্দা করেছেন। তাই মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনাদের পক্ষ থেকে উনাকে ‘মুহিউদ্দীন’ বা দ্বীন যিন্দাকারী লক্বব দেয়া হয়েছে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “পথভ্রষ্ট আলিম বা উলামায়ে ‘ছূ’দের কারণে ইসলামের ক্ষতি হয়ে থাকে।” অর্থাৎ যুগে যুগে উলামায়ে ছূ’রাই ইসলাম সম্পর্কে মনগড়া ফতওয়া দিয়ে তথা হারামকে হালাল ও হালালকে হারাম বলে এবং হারাম কাজে লিপ্ত হয়ে ইসলামের ক্ষতি সাধন করার অপচেষ্টা করে। বর্তমানেও উলামায়ে ছূ’রা হারামকে হালাল ও হালালকে হারাম ফতওয়া দেয়, দুনিয়াবী ফায়দা হাছিলের উদ্দেশ্যে আমীর-উমরা, রাজা-বাদশাহ, মন্ত্রী-মিনিস্টার এমনকি মহিলাদের সাথে একত্রে চলাফেরা করে, উঠাবসা করে, যাওয়া-আসা করে, মিটিং-মিছিল করে, তাদের ছানা-ছিফত ও গুণ বর্ণনা করে প্রকাশ্যে বেপর্দা হয়, ছবি তোলে, ভিডিও করে, টিভি চ্যানেলে প্রোগ্রাম করে, ইসলামের নামে গণতন্ত্র তথা ভোট-নির্বাচন করে, হরতাল করে, লংমার্চ করে, মৌলবাদী দাবি করে, কুশপুত্তলিকা দাহ করে, ব্লাসফেমী আইন চায়। এদের প্রসঙ্গেই হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই (সৃষ্টির মধ্যে) সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট জীব হচ্ছে উলামায়ে ছূ’ তথা দুনিয়াদার ধর্মব্যবসায়ী মাওলানা।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন উনার যামানার মুজাদ্দিদ ও ‘মুহিউদ্দীন’ বা দ্বীন জিন্দাকারী। তাই প্রত্যেকের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক জেনে ও উনাকে মুহব্বত, অনুসরণ, অনুকরণ করে মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনাদের উভয়ের খাছ রেযামন্দি বা সন্তুষ্টি হাছিল করা।
-০-


তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net

Wednesday, February 29, 2012

এ বছরের জন্য আগামী ৬ই আশির-১৩৭৯ শামসী সন, ৫ই মার্চ-২০১২ ঈসায়ী সন ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ পবিত্র ফাতিহায়ে ইয়াযদাহম।




মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘সাবধান! নিশ্চয় যাঁরা মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী উনাদের কোনো ভয় নেই এবং চিন্তা-পেরেশানীও নেই।’
মহান আল্লাহ পাক উনার খালিছ ওলী গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছাল শরীফ হচ্ছে ‘১১ই রবীউছ ছানী’ যা ‘পবিত্র ফাতিহায়ে ইয়াযদাহম’ নামে মশহুর।
এ বছরের জন্য আগামী ৬ই আশির-১৩৭৯ শামসী সন, ৫ই মার্চ-২০১২ ঈসায়ী সন ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ পবিত্র ফাতিহায়ে ইয়াযদাহম।

তাই প্রত্যেক মুসলমান এবং বাংলাদেশ সরকারসহ পৃথিবীর সকল দেশের সরকারের উচিত-
যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যতার সাথে এ দিনটি পালন করা এবং এ দিনের সম্মানার্থে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা।


যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, রবীউছ ছানী মাস অত্যন্ত বরকত ও ফযীলতপূর্ণ মাস। এই মাসেই মাহবুবে সুবহানী, কুতুবে রব্বানী, গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত শায়েখ সাইয়্যিদ মুহিউদ্দীন আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিছাল শরীফ লাভ করেন।

গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত শায়েখ সাইয়্যিদ মুহিউদ্দীন আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিলাদত শরীফ থেকে বিছাল শরীফ পর্যন্ত আমরা যে ওয়াকিয়া বা ইতিহাস দেখতে পাই; তার মধ্যে হাজারো নছীহত বা ইবরত রয়ে গেছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ করেন, “সাবধান! নিশ্চয় যাঁরা মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী উনাদের কোনো ভয় নেই এবং চিন্তা-পেরেশানীও নেই।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, গাউছুল আ’যম, বড়পীর ছাহেব হযরত শায়েখ সাইয়্যিদ মুহিউদ্দীন আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্পর্কে পূর্ববর্তী আউলিয়ায়ে কিরামগণ ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন। আওলাদে রসূল এবং আহলে বাইত উনাদের অন্তর্ভুক্ত হযরত ইমাম জাফর সাদিক আলাইহিস সালাম (যিনি হযরত ইমাম আবু হানিফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পীর ছাহেব বা শায়েখ বা মুর্শিদ ছিলেন) উনি উনার ‘কাশফূল গুয়ুব’ নামক কিতাবে লিপিবদ্ধ করেন যে, এক বিশেষ রূহানী মজলিসে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার আগমনের সংবাদ দান করেন। আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলেন যে, হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম ও হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাদের শাহাদাতের পর আমি আমার উম্মতের কথা ভেবে চিন্তিত হলে আল্লাহ পাক তিনি উনার দুই মাহবুব বান্দা দ্বারা আমাকে সুসংবাদ দান করেন। সেই দুই মাহবুব বান্দার অন্যতম একজন মাহবুবে সুবহানী, কুতুবে রব্বানী, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি। সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ আছে, “প্রত্যেক হিজরী শতকের শুরুতে আল্লাহ পাক তিনি এই উম্মতের ইছলাহর জন্য এমন লোক প্রেরণ করবেন, যিনি দ্বীনের সংস্কার করবেন।” অর্থাৎ বিদয়াত, বেশরা এবং শরীয়ত বিগর্হিত কাজগুলোর সংশোধন করবেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সেই রকম একজন খাছ ও বিশিষ্ট ওলীআল্লাহ হলেন- গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি ৪৭১ হিজরীতে পহেলা রমাদ্বান শরীফ, সোমবার শরীফ-এ পবিত্র জিলান নগরে বিলাদত শরীফ লাভ করেন। জিলান নগরীটি তৎকালে ইরানে অবস্থিত ছিলো।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পিতার দিক থেকে হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম এবং মাতার দিক থেকে হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাদের বংশধর অর্থাৎ আওলাদে রসূল। গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পিতার নাম মুবারক হযরত সাইয়্যিদ আবু ছালেহ মুসা জঙ্গী দোসত রহমতুল্লাহি আলাইহি। যেহেতু তিনি যুদ্ধ প্রিয় ছিলেন সেহেতু উনাকে জঙ্গী দোসত বলা হয়। আর উনার মাতার নাম মুবারক হযরত উম্মুল খায়ের আমাতুল জাব্বার ফাতিমা রহমতুল্লাহি আলাইহা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ‘বাহজাতুল আসরার’ নামক কিতাবে হযরত শায়েখ শিহাবুদ্দীন সোহরাওয়ার্দী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ৫৬০ হিজরীর রবীউল আউয়াল শরীফ মাস হতে অসুস্থ হয়ে পড়লেন।

‘তাওয়ারিখে আউলিয়া’ নামক কিতাবে হযরত শায়খ আব্দুল ফতেহ বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, রোববার দিবাগত রাত্রে অর্থাৎ সোমবার রাত্রে গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি গোসল করেন। গোসলান্তে ইশার নামায আদায় করে তিনি উম্মতে হাবীবীগণের গুনাহখাতা মাফের জন্য ও তাদের উপর খাছ রহমতের জন্য দোয়া করলেন। এরপর গায়েব হতে আওয়াজ আসলো, “হে প্রশান্ত নফস, আপনি সন্তুষ্টচিত্তে, সন্তুষ্টিপ্রাপ্ত হয়ে নিজ প্রতিপালক উনার দিকে প্রত্যাবর্তন করুন। আপনি আমার নেককার বান্দার মধ্যে শামিল হয়ে যান এবং বেহেশতে প্রবেশ করুন।” এরপর তিনি কালিমা শরীফ পাঠ করে তাআজ্জাজা (অর্থ বিজয়ী হওয়া) উচ্চারণ করতে লাগলেন এবং তিনি আল্লাহ, আল্লাহ, আল্লাহ বললেন। এরপর জিহ্বা মুবারক তালু মুবারক-এর সাথে লেগে গেলো। এভাবে ৫৬১ হিজরীর ১১ই রবীউছ ছানী মাসের সোমবার শরীফ-এ গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আল্লাহ পাক উনার মহান দরবারে প্রত্যাবর্তন করলেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) আর এ দিনটিই সারাবিশ্বে ‘পবিত্র ফাতিহায়ে ইয়াযদাহম’ নামে মশহুর। এ বছরের জন্য আগামী ৬ই আশির-১৩৭৯ শামসী সন, ৫ই মার্চ-২০১২ ঈসায়ী সন ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ পবিত্র ফাতিহায়ে ইয়াযদাহম।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জীবনী মুবারক-এ অনেক নছীহত ও ইবরত রয়ে গেছে। আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এর ‘সূরা ইউসূফ’ বর্ণনা করার পর বলেন, “নিশ্চয় এই ঘটনার মধ্যে জ্ঞানীগণের জন্য রয়েছে নছীহত।” এ আয়াত শরীফ থেকে ছাবিত করা হয় যে, পরবর্তী লোকদের জন্য পূর্ববর্তী লোকদের ঘটনাগুলি ইবরতস্বরূপ। তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক জেনে উনাকে মুহব্বত ও অনুসরণ করে আল্লাহওয়ালা হওয়ার কোশেশ করা এবং পবিত্র ফাতিহায়ে ইয়াযদাহম উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারসহ পৃথিবীর সকল দেশের সরকারের উচিত- যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যতার সাথে এ দিনটি পালন করা এবং এ দিনের সম্মানার্থে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা।
-০-



তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © আল ইহসান.নেট | al-ihsan.net