Pages
▼
Thursday, January 19, 2012
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি ঈমান আনো এবং হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ঈমান
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি ঈমান আনো এবং হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ঈমান আনো ও উনার খিদমত করো, তা’যীম তাকরীম করো এবং উনার ছানা-ছিফত বা প্রশংসা করো সকাল-সন্ধ্যা অর্থাৎ দায়িমীভাবে সদা-সর্বদা।’
সকল বান্দা-বান্দী ও উম্মতের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে,
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যথাযথ খিদমত করা অর্থাৎ ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে খিদমতের আঞ্জাম দেয়া, তা’যীম-তাকরীম ও ছানা-ছিফত করা;
যা অশেষ ফযীলত ও পরকালে নাজাত লাভ করার অন্যতম উসীলাও বটে।
তাই কুল-কায়িনাতের জন্য ফরয ওয়াজিব হচ্ছে- সাইয়্যিদুশ শুহুর, শাহরুল আ’যম, রবীউল আউয়াল শরীফ মাস তো অবশ্যই বরং অনন্তকাল খিদমতের আঞ্জাম দেয়া, তা’যীম-তাকরীম ও ছানা-ছিফত করা।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি সাক্ষ্যদাতা, সুসংবাদদাতা ও ভয়প্রদর্শনকারীরূপে। তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি ঈমান আনো এবং হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ঈমান আনো ও উনার খিদমত করো, তা’যীম তাকরীম করো এবং উনার ছানা-ছিফত বা প্রশংসা করো সকাল-সন্ধ্যা অর্থাৎ দায়িমীভাবে সদা-সর্বদা।” এ আয়াত শরীফ দ্বারা বান্দা-বান্দি ও উম্মতের জন্য তিনটি বিষয় ফরয-ওয়াজিব সাব্যস্ত হয়- আর তাহলো, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত, তা’যীম-তাকরীম ও ছানা-ছিফত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, প্রথম বিষয় হচ্ছে খিদমত। এখন উম্মত সরাসরি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমতে আঞ্জাম দিতে পারবে না যেহেতু তিনি বিছাল শরীফ লাভ করেছেন। তবে বর্তমানে উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে সাধ্য-সামর্থ্য অনুযায়ী খরচ করে উনার খিদমতের আঞ্জাম দিতে হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে অর্থাৎ ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে আর্থিক খিদমতের আঞ্জাম দেয়া সকলের জন্যই ফরয। সাথে সাথে তা অশেষ ফযীলতেরও কারণ। অর্থাৎ সাধারণভাবে কেউ যদি এক টাকা খরচ করে তবে সে দশ টাকা খরচ করার ফযীলত পাবে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “যে একটি নেকী করবে তাকে এর বিনিময়ে কমপক্ষে দশটি ছওয়াব দেয়া হবে।” আর জিহাদে বা মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় দান করলে সাত শতগুণ পর্যন্ত ফযীলত লাভ করবে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “তোমাদের সম্পদ আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় খরচ করার মেছাল হচ্ছে যেমন একটি বীজ থেকে সাতটি শীষযুক্ত গাছ উৎপন্ন হয়। প্রতিটি শীষে একশতটি করে বীজ বা দানা উৎপন্ন হলো। অর্থাৎ সাতটি শীষে সাতশতটি বীজ বা দানা উৎপন্ন হলো। মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে ইচ্ছা এর চেয়ে বহুগুণ বেশি দিয়ে থাকেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রশস্তকারী অর্থাৎ পর্যাপ্ত দানকারী ও অধিক জ্ঞানী।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে কেউ যদি এক মুদ (১৪ ছটাক) বা অর্ধমুদ (৭ ছটাক) গম দান করে তবে সে অন্যান্য নেক কাজে উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ দান করলে যেই ফযীলত তার চেয়ে বেশি ফযীলত লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ! যে প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “আমার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে তোমরা গালমন্দ, সমালোচনা বা দোষারোপ করো না। তোমাদের কেউ যদি উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় দান করো, তবুও হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা আমার খিদমতে এক মুদ (১৪ ছটাক) বা অর্ধ মুদ (৭ ছটাক) গম হাদিয়া করে যে ফযীলত অর্জন করেছেন তার সমপরিমাণ ফযীলত তোমরা অর্জন করতে পারবে না।” অর্থাৎ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য হাদিয়া করে যে বেমেছাল ফযীলত হাছীল করেছেন পরবর্তী উম্মত যদি সেই ফযীলতের অনুরূপ ফযীলত হাছিল করতে চায় তাহলে তাদের কর্তব্য হলো, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে সর্বোচ্চ তাওফীক্ব বা সাধ্য অনুযায়ী ব্যয় করা। মূলত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে মাত্র এক দিরহাম খরচ করার অর্থ হচ্ছে নিশ্চিতরূপে জান্নাত লাভ করা। যেমন এ প্রসঙ্গে বিশ্ব সমাদৃত ও সুপ্রসিদ্ধ মীলাদ শরীফ-এর কিতাব “আন নি’য়ামাতুল কুবরা আলাল আলাম ফী মাওলিদি সাইয়্যিদি উলদি আদম”-এ বর্ণিত আছে, (নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের পরে শ্রেষ্ঠ মানুষ) হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে এক দিরহাম ব্যয় করবে, সে জান্নাতে আমার বন্ধু হয়ে থাকবে। অর্থাৎ সে নিশ্চিত জান্নাতী হবে।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিষয় হচ্ছে- তা’যীম-তাকরীম ও ছানা-ছিফত। এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ আছে, “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে যে, একদা তিনি বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে নিজ গৃহে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে সমবেত করে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছিলেন। এতে শ্রবণকারীগণ আনন্দ ও খুশিতে তাসবীহ-তাহলীল ও দুরূদ শরীফ পাঠ করতেছিলেন। ঠিক এমন সময় হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উক্ত মজলিসে তাশরীফ আনলেন। তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের এমন মীলাদ শরীফ পাঠের মজলিস দেখে সন্তুষ্ট হয়ে উনাদের উদ্দেশ্য করে ইরশাদ করলেন- আপনাদের জন্য আমার শাফায়াত ওয়াজিব হয়ে গেলো।” সুবহানাল্লাহ!
অন্য হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে- “হযরত আবু দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন- একদা আমি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে হযরত আমের আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বাড়িতে গেলাম। সেখানে দেখলাম তিনি বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে নিজ সন্তানাদি এবং আত্মীয়-স্বজন, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশীদেরকে সমবেত করে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ-এর ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছিলেন। এমন সময় হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সেখানে তাশরীফ আনতে দেখে উপস্থিত সকলেই দাঁড়িয়ে সালাম পেশ করতঃ আহলান সাহলান জানিয়ে আসন মুবারক-এ বসালেন। হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মীলাদুন নবী উদযাপনের এমন মজলিস দেখে সবাইকে উদ্দেশ্য করে ইরশাদ ফরমান, নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা উনার রহমতের দরজা আপনাদের জন্য উন্মুক্ত করেছেন এবং সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণ উনারা আপনাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছেন। যে কেউ আপনাদের মতো মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপনের এমন আয়োজন করবে তারাও অনুরূপভাবে নাজাত লাভ করবে।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ-এর সূরা মারইয়াম-এর ১৫ নম্বর আয়াত পাক-এ হযরত ইয়াহইয়া আলাইহিস সালাম উনার শানে ইরশাদ ফরমান-“উনার প্রতি শান্তি সালাম অবারিত ধারায় বর্ষিত হোক যেদিন তিনি দুনিয়ায় আগমন করেন অর্থাৎ বিলাদত শরীফ লাভ করেন ও যেদিন তিনি বিছাল শরীফ লাভ করেন আবার যেদিন তিনি জীবিত অবস্থায় পুনরুত্থিত হবেন।” সুবহানাল্লাহ!
অনুরূপ হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার নিজের বক্তব্য উল্লেখ করে কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে- “আমার প্রতি সালাম (অবারিত শান্তি) যেদিন আমি বিলাদত শরীফ লাভ করি, যেদিন আমি বিছাল শরীফ লাভ করবো এবং যেদিন আমি জীবিত অবস্থায় পুনরুত্থিত হবো।” সুবহানাল্লাহ! (সূরা মারইয়াম : আয়াত শরীফ ৩৩)
এ আয়াত শরীফদ্বয় দ্বারা অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয় যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ ও বিছাল শরীফ দিবস বান্দা-বান্দী ও উম্মতের জন্য অশেষ রহমত, বরকত ও সাকীনার কারণ।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- সকল বান্দা-বান্দী ও উম্মতের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যথাযথ খিদমত করা অর্থাৎ ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে খিদমতের আঞ্জাম দেয়া, তা’যীম-তাকরীম ও ছানা-ছিফত করা; যা অশেষ ফযীলত ও পরকালে নাজাত লাভ করার অন্যতম উসীলাও বটে। তাই কুল-কায়িনাতের জন্য ফরয ওয়াজিব হচ্ছে- সাইয়্যিদুশ শুহুর, শাহরুল আ’যম, রবীউল আউয়াল শরীফ মাস তো অবশ্যই বরং অনন্তকাল খিদমতের আঞ্জাম দেয়া, তা’যীম-তাকরীম ও ছানা-ছিফত করা। বিশেষ করে পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ মাসে সর্বপ্রকার হারাম-নাজায়িয কাজ থেকে বিরত থেকে সম্পূর্ণ মাসব্যাপী নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছানা-ছিফত বর্ণনায় মশগুল থাকা।
-০-
তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © দৈনিক আল ইহসান | দৈনিক আল ইহসান.
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘আমার হাবীব, তোমাদের রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা এনেছেন তা তোমরা আঁকড়িয়ে ধরো আর যা থেকে বিরত থাকতে
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, ‘আমার হাবীব, তোমাদের রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা এনেছেন তা তোমরা আঁকড়িয়ে ধরো আর যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন তা থেকে বিরত থাকো। এ বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো। কেননা, তিনি কঠিন শাস্তিদাতা।’
আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক ছবি তুলনেওয়ালা ও ছবি তোলানেওয়ালা জাহান্নামী।’
কাজেই ‘কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’- এই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, দেশে দলীল নথিভুক্তকরণের ক্ষেত্রে ডিজিটাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতি চালু করা এবং ছবির ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে বাদ দেয়া।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’- এই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, দেশে দলীল নথিভুক্তকরণের ক্ষেত্রে ডিজিটাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতি চালু করা এবং ছবির ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে বাদ দেয়া।”
‘সরকার দেশের রেজিস্টার অফিসগুলোতে দলীলের জন্য ছবির ব্যবহার বাধ্যতামূলক করায় প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলাগণ যে কবীরাহ গুনাহে গুনাহগার হবে; তা থেকে বেঁচে থাকা সকলের জন্য ফরয-ওয়াজিব’ সে বিষয় নছীহত প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আমাদের দেশে দলীল নথীভুক্তকরণ অফিসে জমি ক্রেতা-বিক্রেতাদের ক্ষেত্রে ছবি দেয়ার নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে। পূর্বে দলীলে ছবির কোনো প্রয়োজন ছিলো না। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো, সেই ব্রিটিশ সময় আঙ্গুলে কালি লাগিয়ে দলীলে ছাপ দেয়ার যেই প্রচলন ছিলো আজ অবধি সেই নিয়মের কোনো পরিবর্তন হয়নি। কিন্তু আঙ্গুলের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) দেয়ার বিষয়টি অতি প্রয়োজনীয় বলে এখনো টিকে থাকলেও এর আধুনিকরণে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সমগ্র বিশ্বের ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতির যথেষ্ট উন্নতি সাধিত হয়েছে। কালির ছাপের পরিবর্তে এখন ডিজিটাল ইমেজ পদ্ধতি চালু হয়েছে। এছাড়া কম্পিউটার থেকে কোনো ব্যক্তিবিশেষের তথ্য অনুসন্ধান করতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতিও কাজে লাগানো হচ্ছে কিন্তু আমাদের দেশে দলীলে আঙ্গুলের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) নেয়ার পর তা ফাইলবন্দি হয়ে থাকছে। সহজেই কোনো তথ্য অনুসন্ধানে আঙ্গুলের ছাপ পদ্ধতি কোনো কাজে আসছে না। আমাদের দেশের সরকার এই বিষয়ে মনোযোগী না হয়ে দলীল নথীভুক্তকরণে শরীয়তে নিষিদ্ধ হারাম ছবি অন্তর্ভুক্ত করেছে। যাতে পুরুষ-মহিলা সবাইকেই কবীরাহ গুনাহে গুনাহগার হতে হচ্ছে। এছাড়া পর্দানশীন মহিলাগণও পর্দা রক্ষা করতে পারছে না। কারণ পর্দানশীন মহিলাদেরও কোনো সম্পত্তি বেচাকেনার ক্ষেত্রে ছবি তুলে জমা দিতে হচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন’ এবং ‘কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’ এসব প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসা বর্তমান সরকারের দলীল নথীভুক্তকরণে ডিজিটাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতির অন্তর্ভুক্ত এবং ছবির ব্যবহার বাদ দেয়ার আইন চালু করা উচিত।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পৃথিবীতে কোনো শাসক চিরকালের জন্য আসে না। তাদেরকে মৃত্যুর পর কঠিন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়, যারা দেশে শরীয়তবিরোধী আইন চালু করছে। তাই মৃত্যুর পূর্বেই তাদেরক্লে¬ অবশ্যই খালিছ তওবা করতে হবে। নতুবা অপেক্ষা করছে চরম লাঞ্ছনা এবং গঞ্জনা।
তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © দৈনিক আল ইহসান | দৈনিক আল ইহসান.
Allah Pak Dictates, "Noor-e-Mujassam, Habeebullah, Huzur Pak Swallallahu 'Alaihi Wa Sallam, firmly take hold of whatever HE brought and abstain from that which HE tells you to refrain from. On this issue, fear Allah Pak because Allah Pak is strict punisher." And Noor-e-Mujassam, Huzur Pak Swallallahu 'Alaihi Wa Sallam dictates, "Every photographer and everyone helping to make photography (of living beings) will be inhabitant of Jahannam (hell)." Therefore, it is Far'd-Wajib for this government, having the promise that 'No laws against Qur'an Shareef and Sunnah Shareef shall be passed', to introduce 'digital fingerprint system' in registration of Deeds and to discard the use of photos completely.
Prime Point of the attention of Allah Pak, Imaam and Mujtahid of this time, Imaamul Aimmah, Qutwubul A’alam, Awladur Rwasool, Habeebullah, Mamduh Ha’drat Murshid Qiblah 'Alaihis Salaam of Rajarbagh Dorbar Shareef, Dhaka says, "it is Far'd-Wajib for this government, having the promise that 'No laws against Qur'an Shareef and Sunnah Shareef shall be passed', to introduce 'digital fingerprint system' in registration of Deeds and to discard the use of photos completely." He made those remarks while delivering advices on the aspects of making photography, a compulsory item in land registration process where Muslim men and women would commit major sins thorough photography and abstaining from that is Far'd-Wajib for all.
Mujaddide A’azwam Ha’drat Murshid Qibla 'Alaihis Salaam says, "In our country, in the office of land registration, a new policy of providing photographs of land buyers and sellers has been started. Earlier, no photography was needed for the purpose. The usage of putting impression on the deeds using ink on the finger has not changed a bit from the time of British reign till today. As the matter being very essential, the system of putting finger print on documents by applying ink on fingers is still surviving, but sadly, the government has not yet taken any initiative to modernize the system."
Mujaddide A’azwam Ha’drat Murshid Qibla 'Alaihis Salaam says, "All over the world there have been much of improvements in the finger print system. Instead of impression by ink, digital image system has come into being. Besides, finger print system is also utilized in the computer to find out information about a particular individual. But in our country, after taking the finger prints, these are confined within the files; these are not coming in to any use for collecting any information easily. Not putting attention to this aspect, the government of our country has introduced harwam pictures in registration process leading men and women to commit major (kabirwa) sins. Besides, women maintaining Hijab are also not able to maintain it since they are also bound to submit their photos for the purpose of buying or selling properties. Na'oozubillah!
Mujaddide A’azwam Ha’drat Murshid Qibla 'Alaihis Salaam says, "The present government which came into power with the promises of 'Dreams of making digital Bangladesh' and 'there shall be no laws passed against Qur'an Shareef and Sunnah Shareef' should introduce laws to use digital finger print system in registration of deeds and to discard the use of photos."
Mujaddide A’azwam Ha’drat Murshid Qibla 'Alaihis Salaam says, "No rulers come to the world to rule forever. Those who introduce anti- Shari'ah laws in the country will have to face tough questioning after their deaths. Therefore, they must perform Khwalis (genuine) Tawba before their demise or else extreme harassments and abashments are waiting for them."
█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © Al-Ihsan.net | Al-Ihsan.
Wednesday, January 18, 2012
‘আখিরী চাহার শোম্বাহ’ এ বছরের জন্য ১৪৩৩ হিজরী সনের ২৩শে ছফর, শামসী সনের ২০শে ছামিন, ঈসায়ী সনের ১৮ই জানুয়ারি, বুধবার।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, (হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ দিনগুলো তাদেরকে অর্থাৎ ঈমানদার বান্দাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিন। নিশ্চয়ই এতে ধৈর্যশীল, শোকরগোযার বান্দাদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।
‘আখিরী চাহার শোম্বাহ’ এ বছরের জন্য ১৪৩৩ হিজরী সনের ২৩শে ছফর, শামসী সনের ২০শে ছামিন, ঈসায়ী সনের ১৮ই জানুয়ারি, বুধবার।
যা পালন করা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের খাছ সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত।
‘আখিরী চাহার শোম্বাহ’ পালন উপলক্ষে সাধ্যমত হাদিয়া পেশ করা এবং দান-ছদক্বা করা, গোসল করা, ভালো খাওয়া, অধিক পরিমাণে মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ ও দুরূদ শরীফ পাঠ করা সকলের জন্য আবশ্যক।
বাংলাদেশসহ সকল মুসলিম ও অমুসলিম সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- এ মুবারক দিনটি পালনের সর্বপ্রকার ব্যবস্থা গ্রহণসহ সরকারি ছুটি ঘোষণা করা।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মুসলমান হিসেবে সমস্ত মুসলমানসহ সরকারকে- যিনি ঈমানের মূল এবং সমস্ত মাখলুক্বাতের জন্য রহমত ও নাজাতের মূল আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অকল্পনীয় ও বেমেছাল মর্যাদা-মর্তবা এবং ফাযায়িল-ফযীলতই শুধু নয়; বরং উনার সাথে সম্পৃক্ত বিশেষ দিন ও ঘটনা সম্পর্কেও বিশেষভাবে অবগত হতে হবে এবং অত্যন্ত আদব ও মুহব্বতের সাথে উনার হক্বও বিশেষভাবে আদায়ের কোশেশ করতে হবে।
আসন্ন পবিত্র ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ’ উপলক্ষে এক আলোচনা মজলিসে রাজারবাগ শরীফ-এ তিনি এসব কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সকল ইমাম-মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের ইজমা হয়েছে যে, “যে মাটি মুবারক আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ক্বদম মুবারক স্পর্শ করেছে তার মর্যাদা আরশে আযীমের চেয়েও লক্ষ-কোটি গুণ বেশি।” সুবহানাল্লাহ!
উল্লেখ্য, তায়াল্লুক-নিছবত থাকার কারণে মাটি মুবারক যদি এত মর্যাদা-মর্তবার অধিকারী হয়ে থাকে; তাহলে যে তারিখে, যে দিবসে, যে মাসে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিশেষ ঘটনা সংঘটিত হয়ে থাকে তার মর্যাদা-মর্তবা কত বেশি হতে পারে সেটা খুব সহজেই অনুধাবনীয়।
তাহলে আখিরী চাহার শোম্বাহ-এর কত ফযীলত তা ফিকির করতে হবে। অতএব, সকল মুসলমানেরই উচিত- এদিনকে যথাযথ তা’যীম-তাকরীম করা এবং এ দিনের ফযীলত হাছিলের লক্ষ্যে আমল করা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার মা’রিফাত-মুহব্বতে দগ্ধিভূত ব্যক্তি তথা মুসলমানগণ উনারা সে দিনটিকে মা’রিফাত-মুহব্বত লাভের উসীলা সাব্যস্ত করে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের অনুসরণে যুগ যুগ ধরে ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ’ হিসেবে পালন করে আসছেন। কালামুল্লাহ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে যারা উত্তমভাবে অনুসরণ করে আল্লাহ পাক উনাদের প্রতি সন্তুষ্ট।” (সূরা তওবা : আয়াত শরীফ-১০০)
আর হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “তোমাদের জন্য আমার সুন্নত এবং খুলাফায়ে রাশিদীন তথা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম উনাদের সুন্নত অবশ্য পালনীয়।”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ’ এ বছরের জন্য ১৪৩৩ হিজরী সনের ২৩শে ছফর, শামসী সনের ২০শে ছামিন, ঈসায়ী সনের ১৮ই জানুয়ারি, বুধবার। অনেকে ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ’ উদযাপন করাকে নাজায়িয ও বিদয়াত বলে আখ্যায়িত করে থাকে। যা সম্পূর্ণ অশুদ্ধ ও ভুল। বরং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের অনুসরণে ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ’ উপলক্ষে সাধ্যমতো হাদিয়া করা এবং দান-ছদক্বা করা, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অধিক পরিমাণে ছলাত-সালাম, মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ ও দুরূদ শরীফ পাঠ করা সকলের জন্য আবশ্যক। অতএব, বাংলাদেশসহ ও সমস্ত মুসলিম ও অমুসলিম সরকারের উচিত আখিরী চাহার শোম্বাহর দিনের ভাবগাম্ভীর্যতা রক্ষা করা এবং যথাযথ মর্যাদার সাথে এ দিন পালনের ব্যবস্থা গ্রহণসহ সরকারি ছুটি নির্ধারণ করা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হিন্দু ও মজূসীদের পহেলা বৈশাখ, ইহুদী-খ্রিস্টানদের পহেলা মে, বৌদ্ধদের বুদ্ধ পূর্ণিমা, খ্রিস্টানদের বড়দিন ২৫শে ডিসেম্বর ও হিন্দুদের দুর্গাপূজাসহ অনেক ছুটি আমাদের মুসলিম দেশে পালন করা হয়, যার সাথে মুসলিম ঐতিহ্যের কোনো সম্পর্ক নেই এবং যা মুসলমানদের প্রয়োজনও নেই। সরকার যদি এরূপ অপ্রয়োজনীয় দিনে ছুটি দিতে পারে, তবে আখিরী চাহার শোম্বাহ-এর ন্যায় এত ফযীলতপূর্ণ দিন উপলক্ষে ছুটি দিতে পারবে না কেন?
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র এ দিনগুলোর মর্যাদা-মর্তবা আমভাবে অনুধাবন এবং পালনের জন্যেই এসব দিনে ‘দৈনিক আল ইহসান’ প্রকাশ বন্ধ রাখা হয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন, অতিশীঘ্রই সবাই এই আদর্শ অনুসরণে এগিয়ে আসবেন ইনশাআল্লাহ। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সকলকেই পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ-এর ফযীলত ও গুরুত্ব হাক্বীক্বীভাবে উপলব্ধি করার এবং এর আমলগুলো করার তাওফীক দান করুন। আমীন!
-০-
তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © দৈনিক আল ইহসান | দৈনিক আল ইহসান.
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম উনাদেরকে যারা উত্তমভাবে অনুসরণ করেন মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদের প্রতি সন্তুষ্ট।
এ বছরের জন্য আগামীকাল ২৩শে ছফর, রোজ বুধবার, ২০শে ছামিন, শামসী সন বা ১৮ই জানুয়ারি, ঈসায়ী সন ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ’।
যা পালন করা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের খাছ সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত।
‘আখিরী চাহার শোম্বাহ’ পালন উপলক্ষে খুশী প্রকাশ করে সাধ্যমতো হাদিয়া পেশ করা, দান-ছদক্বা করা, গোসল করা, ভালো খাওয়া, অধিক পরিমাণে মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ ও দুরূদ শরীফ পাঠ করা সকলের জন্য আবশ্যক।
পাশাপাশি বাংলাদেশসহ সকল মুসলিম ও অমুসলিম সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- এ মুবারক দিনটি পালনের সর্বপ্রকার ব্যবস্থা গ্রহণসহ এ মুবারক দিন উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ‘আখির’ শব্দটি আরবী। এর অর্থ শেষ। আর ‘চাহার শোম্বাহ’ হচ্ছে ফার্সী শব্দ। এর অর্থ বুধবার। আরবী ও ফার্সী শব্দের সংমিশ্রণে ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ’ বলতে ছফর মাসের শেষ বুধবারকে বুঝানো হয়ে থাকে। মূলত এ দিনটি মুসলিম উম্মাহর জন্য এক বিশেষ খুশির দিন।
পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ-এর গুরুত্ব ও ফযীলত আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এ মুবারক দিনটি সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, রহমতুল্লিল আলামীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিদায়ের পূর্ববর্তী মাসের অর্থাৎ ছফর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে তিনি ভীষণভাবে অসুস্থতা অনুভব করেন অতঃপর দিন দিন উনার অসুস্থতার অনুভব বাড়তেই থাকে। কিন্তু এই মাসের ৩০ তারিখ বুধবার দিন ভোর বেলা ঘুম থেকে জেগে তিনি বললেন, ‘আমার নিকট কে আছেন?’ এ কথা শুনামাত্রই উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি ছুটে আসলেন এবং বললেন, ‘ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার মাতা-পিতা আপনার জন্য কুরবান হোক। আমি হাযির আছি।’ তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, ‘হে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম! আমার মাথা মুবারক-এর ব্যথা দূর হয়ে গেছে এবং শরীর মুবারকও বেশ হালকা মনে হচ্ছে। আমি আজ বেশ সুস্থতা বোধ করছি।’ সুবহানাল্লাহ! এ কথা শুনে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম অত্যন্ত আনন্দিত হলেন এবং তাড়াতাড়ি পানি আনয়ন করে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাথা মুবারক ধুয়ে দিলেন এবং সমস্ত শরীর মুবারক-এ পানি ঢেলে ভালোভাবে গোসল করিয়ে দিলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এই গোসলের ফলে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম উনার শরীর মুবারক হতে বহু দিনের অসুস্থতাজনিত অবসাদ অনেকাংশে দূর হয়ে গেল। তারপর তিনি বললেন, ‘হে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম! ঘরে কোনো খাবার আছে কি?’ তিনি জবাব দিলেন, ‘জী-হ্যাঁ, কিছু রুটি পাকানো আছে।’ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, ‘আমার জন্য তা নিয়ে আসুন আর হযরত মা ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনাকে খবর দিন, তিনি যেন উনার আওলাদগণ উনাদেরকে নিয়ে তাড়াতাড়ি আমার নিকট চলে আসেন।’ উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনাকে সংবাদ দিলেন এবং ঘরে যে খাবার তৈরি ছিলো তা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট পরিবেশন করলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনার আওলাদগণ উনাদেরকে নিয়ে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট হাজির হলেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত মা ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনাকে নিজের গলা মুবারক-এর সাথে জড়িয়ে স্নেহের পরশ বুলিয়ে দিলেন, নাতিগণ উনাদের কপাল মুবারক-এ চুমো খেলেন এবং উনাদেরকে সাথে নিয়ে আহারে বসলেন। কয়েক লোকমা খাবার গ্রহণ করার পর অন্যান্য উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারাও খিদমতে এসে হাযির হলেন। অতঃপর পর্যায়ক্রমে বিশিষ্ট ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাও বাইরে এসে হাযির হন। কিছুক্ষণ পর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বাইরে এসে উনাদেরকে লক্ষ্য করে বললেন, ‘হে ছাহাবীগণ! আমার বিদায়ের পর আপনাদের অবস্থা কিরূপ হবে?’ এ কথা শুনে হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনারা ব্যাকুলচিত্তে কান্না শুরু করলেন। উনাদের এ অবস্থা দেখে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাদেরকে সান্ত¡না দান করলেন। অতঃপর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মসজিদে নববী শরীফ-এ ওয়াক্তিয়া নামাযের ইমামতি করলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দীর্ঘদিন অসুস্থতা অনুভব করার পর সুস্থতা অনুভব করে মসজিদে নববী শরীফ-এ আগমন করেন এবং নামাযের ইমামতি করেন এই অপার আনন্দে হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনারা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুসারে অনেক কিছু হাদিয়া পেশ করেন। কোনো কোনো বর্ণনায় জানা যায় যে, খুশিতে আত্মহারা হয়ে হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনি সাত হাজার দীনার, হযরত উমর ফারূক আলাইহিস সালাম তিনি পাঁচ হাজার দীনার, হযরত উছমান যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি দশ হাজার দীনার, হযরত আলী র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি তিন হাজার দীনার, হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি একশত উট ও একশত ঘোড়া মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় হাদিয়া করতঃ মহান আল্লাহ পাক ও উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বত ও সন্তুষ্টি লাভ করেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম উনাদেরকে যারা উত্তমভাবে অনুসরণ করেন মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদের প্রতি সন্তুষ্ট। এ বছরের জন্য আগামীকাল ২৩শে ছফর, রোজ বুধবার, ২০শে ছামিন, শামসী সন বা ১৮ই জানুয়ারি, ঈসায়ী সন ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ’। যা পালন করা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের খাছ সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত। ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ’ পালন উপলক্ষে খুশী প্রকাশ করে সাধ্যমতো হাদিয়া পেশ করা, দান-ছদক্বা করা, গোসল করা, ভালো খাওয়া, অধিক পরিমাণে মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ ও দুরূদ শরীফ পাঠ করা সকলের জন্য আবশ্যক। পাশাপাশি বাংলাদেশসহ সকল মুসলিম ও অমুসলিম সরকারের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- এ মুবারক দিনটি পালনের সর্বপ্রকার ব্যবস্থা গ্রহণসহ এ মুবারক দিন উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা।
তথ্যসূত্র:█║▌│█│║▌║││█║▌│║█║▌ © দৈনিক আল ইহসান | দৈনিক আল ইহসান.