Pages
▼
Friday, May 27, 2011
আজ সুমহান ২২ জুমাদাল উখরা। আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছিদ্দীক্বে আকবর হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সুমহ
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার মুহব্বতই হচ্ছে ঈমান।
আজ সুমহান ঐতিহাসিক ২২ জুমাদাল উখরা।
আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছিদ্দীক্বে আকবর হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সুমহান ও পবিত্র বিছাল শরীফ-এর দিন
এ উপলক্ষে সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মতের পক্ষ থেকে পবিত্র মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ ও ওয়াজ শরীফ-এর মাহফিল করা সকলের জন্য ফরয-ওয়াজিব।
আর সরকারের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- উনার জীবনী মুবারক সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা এবং সাথে সাথে উনার বিছাল শরীফ উপলক্ষে সরকারি ছুটিও ঘোষণা করা।
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পরে যিনি সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদার অধিকারী তিনিই ‘ছিদ্দীক্বে আকবর’ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং এই ছিদ্দীক্বে আকবর লক্বব উনার একক বৈশিষ্ট্য। উনার মর্যাদা স^ল্প পরিসরে উল্লেখ করা সম্ভব নয়। এমন কোন ভাষা নেই, যে ভাষায় উনার জীবনীগ্রন্থ রচিত হয়নি। তিনি ছিলেন সেই ব্যক্তি যিনি প্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন। হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ইসলামী জগতে এক নজিরবিহীন বিরল ব্যক্তিত্ব। নুবুওওয়াতের পর উনার ইমামত ও খিলাফত সকলেই বিনা দ্বিধায় মেনে নেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ‘তিরমিযী শরীফ’-এর হাদীছ শরীফ-এ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, যেই জামায়াতে হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনি উপস্থিত থাকবেন সেখানে তিনি ব্যতীত অন্য কারো ইমামতি করা উচিত হবে না।
আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, আমি আমার রব (আল্লাহ পাক উনাকে) ছাড়া যদি আর কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করতাম তাহলে হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকেই বন্ধুরূপে গ্রহণ করতাম।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, ২২শে জুমাদাল উখরা অর্থাৎ আজ শুক্রবার আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার পবিত্র বিছাল শরীফ। যিনি আল্লাহ পাক উনার যমীনে হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের পর মহান আল্লাহ পাক উনার সর্বশ্রেষ্ঠ বান্দা এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মত। উনাকে মুহব্বত করা জুযে ঈমান। উনাকে অনুসরণ-অনুকরণ করলে হিদায়েত ও মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি পাওয়া যায়। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “যারা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে উত্তমভাবে অনুসরণ করবে তাদের প্রতি সন্তুষ্ট আল্লাহ পাক স্বয়ং তিনি এবং তারাও আল্লাহ পাক উনার প্রতি সন্তুষ্ট।”
আর হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “আমার প্রত্যেক ছাহাবী তারকা সাদৃশ্য তাদের যে কাউকে যে কোন বিষয়ে যে কোন ব্যক্তি অনুসরণ করবে সে হিদায়েত পেয়ে যাবে।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মূলত উনার ফাযায়িল-ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা ও বুযূর্গী সম্পর্কিত ইলম না থাকার কারণেই অনেকে উনাকে যথাযথ মুহব্বত ও অনুসরণ করতে পারছে না। যার ফলে তারা মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খাছ রেযামন্দি হাছিলে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই উনার সম্পর্কে জানা সকলের জন্যই ফরয। কেননা যে বিষয়টা আমল করা ফরয সে বিষয়ে ইলম অর্জন করাও ফরয। অথচ আশ্চর্যের বিষয় হলো ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশের মাদরাসা, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে উনার সম্পর্কে কোন আলোচনাই নেই। তাহলে মুসলমানগণ কি করে হাক্বীক্বী মুসলমান হবে? তাই সরকারের জন্য দায়িত্ব কর্তব্য অর্থাৎ ফরয হচ্ছে- শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অর্থাৎ পাঠ্যপুস্তকে উনার জীবনী মুবারক অন্তর্ভুক্ত করা। উনার বিছাল শরীফ উপলক্ষে সরকারিভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, সরকারের জন্য আরো দায়িত্ব-কর্তব্য অর্থাৎ ফরয হচ্ছে- উনার পবিত্র বিছাল শরীফ উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করা। কেননা পহেলা মে, বুদ্ধ পূর্ণিমা, দুর্গাপূজাসহ অন্যান্য দিনে মুসলিম বিশ্বে ছুটি দেয়া হয়; যার সাথে মুসলিম ঐতিহ্যের কোন সম্পর্ক নেই এবং যা মুসলমানদের কোন প্রয়োজনও নেই। শুধু তাই নয়, বরং বিধর্মীদের বিশেষ দিনগুলি মুসলমানগণের জন্য পালন করা সম্পূর্ণরূপে নাজায়েয ও হারাম এবং ঈমান নষ্ট হওয়ারও কারণ। প্রকৃতপক্ষে মুসলমান হিসেবে প্রত্যেকেরই উচিত ছিল মুসলিম ঐতিহ্য ও ইসলামী ফযীলতযুক্ত দিন যেমন, উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিননাস সালাম, আহলে বাইত শরীফ, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের বিলাদত ও বিছাল শরীফ সম্পর্কে অবগত থাকা। তার চেতনাবোধে ও মর্যাদা-মর্তবা অনুধাবনে অনুপ্রাণিত থাকা। এসব দিনের মর্যাদা-মর্তবা পালন এবং আমভাবে অনুধাবনের জন্যই দৈনিক আল ইহসান বন্ধ রাখা হয় এবং আজও বন্ধ রাখা হয়েছে। যদিও উনারই ফাযায়িল-ফযীলত ও ছানা-ছিফত প্রকাশের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাপনায় দৈনিক আল ইহসান প্রকাশিত হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন অতি শীঘ্রই সবাই একই আদর্শ অনুসরণে এগিয়ে আসবেন ইনশাল্লাহ।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, মূলকথা হলো- আজ সুমহান ২২ জুমাদাল উখরা। আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছিদ্দীক্বে আকবর হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সুমহান ও পবিত্র বিছাল শরীফ-এর দিন। এ উপলক্ষে সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মতের পক্ষ থেকে পবিত্র মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ ও ওয়াজ শরীফ-এর মাহফিলের আয়োজন করে- উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক বেশি বেশি আলোচনা করা সকলের জন্য ফরয-ওয়াজিব। আর সরকারের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- উনার জীবনী মুবারক সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা এবং সাথে সাথে উনার বিছাল শরীফ উপলক্ষে সরকারি ছুটির ঘোষণা করা।
সূত্র: দৈনিক আল ইহসান
Wednesday, May 25, 2011
সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত ফাতিমা আলাইহাস সালাম এই জুমাদাল উখরা মাসের ২০ তারিখ পবিত্র বিলাদত শরীফ লাভ করেন।
হযরত ফাতিমাতুয-যাহরা আলাইহাস সালাম, তিনি বিশ্বের সকল মহিলার সাইয়্যিদাহ, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার লখতে জিগার, হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম ও হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম, উনাদের সম্মানিতা মাতা, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার অত্যন্ত স্নেহময়ী কন্যা এবং উনার সর্বপ্রথম আহলিয়া হযরত খাদীজাতুল কুবরা আলাইহাস সালাম, উনার চার কন্যার একজন। রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার সর্ব কনিষ্ঠা কন্যা ছিলেন। উনার পবিত্র মুখ মণ্ডল মুবারকের পবিত্রতম দীপ্তি ও লাবণ্যের কারণে উনাকে ‘‘আয-যাহরা’’ বলা হত।
অনেকের মতে তিনি নুবুওওয়াত প্রকাশের ৩ বৎসর পূর্বে ২০ জুমাদাল উখরা বিলাদত শরীফ লাভ করেন। যেমনিভাবে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার কোন পুত্র সন্তানই জীবিত থাকেননি, তদ্রূপ উনার অপরাপর কন্যাদের থেকে উনার বংশীয় ধারা জারি না হয়ে। কেবল সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত ফাতিমা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বংশধারা চালু হয়েছে। মূলত তিনি আহলে বাইত উনাদের অন্যতম।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আহলে বাইত সম্পর্কে ইরশাদ করেন, “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি (উম্মতদেরকে) বলুন, আমি তোমাদের নিকট নুবুওওয়াতের দায়িত্ব পালনের কোন প্রতিদান চাইনা। তবে আমার নিকটজন তথা আহলে বাইতগণ উনাদের প্রতি তোমরা সদাচরণ করবে।” (সূরা শূরা/২৩) এ আয়াত শরীফ-এর ব্যাখ্যায় বিশ্বখ্যাত তাফসীর “তাফসীরে মাযহারী” ৮ম জিলদ ৩২০ পৃষ্ঠায় বর্ণিত রয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “আমি তোমাদের নিকট প্রতিদান চাইনা তবে তোমরা আমার নিকটাত্মীয়, আহলে বাইত ও বংশধরগণ উনাদের (যথাযথ সম্মান প্রদর্শন পূর্বক) হক্ব আদায় করবে। কেননা, আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন শেষ নবী। উনার পরে কোন নবী নেই।”
আহলে বাইত উনাদের ফযীলত সম্পর্কে “হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, একদা ভোরবেলা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একখানা কাল বর্ণের পশমী নকশী কম্বল শরীর মুবারকে দিয়ে বের হলেন। এমন সময় হযরত ইমাম হাসান আলাইহাস সালাম তিনি সেখানে আসলেন, তিনি উনাকে কম্বলের ভিতরে প্রবেশ করিয়ে নিলেন। তারপর হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম তিনি আসলেন, উনাকেও ইমাম হাসান আলাইহাস সালাম উনার সাথে প্রবেশ করিয়ে নিলেন। অতঃপর হযরত ফাতিমা আলাইহাস সালাম তিনি আসলেন উনাকেও তাতে প্রবেশ করিয়ে নিলেন। তারপর হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি আসলেন, উনাকেও তার ভিতরে প্রবেশ করিয়ে নিলেন। অতঃপর নবী পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কুরআন শরীফ-এর এই আয়াত শরীফখানা পড়লেন, হে আমার আহলে বাইত! আল্লাহ তায়ালা আপনাদেরকে সকল প্রকার অপবিত্রতা থেকে মুক্ত রেখে পবিত্র করার মত পবিত্র করবেন।” (মুসলিম শরীফ)
হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ আছে “হযরত সা’দ ইবনে আবূ ওয়াক্কাছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, যখন (আস আমরা আহবান করি আমাদের সন্তানগণকে ও তোমাদের সন্তানগণকে) এ আয়াত শরীফ নাযিল হলো, তখন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত ফাতিমা আলাইহাস সালাম তিনি ও হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম তিনি এবং হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে ডাকলেন এবং বললেন, আয় আল্লাহ পাক! এরা সকলে আমার আহলে বাইত।” (মুসলিম শরীফ)
হাদীছ শরীফ-এ আরো উল্লেখ আছে “হযরত মিসওয়ার ইবনে মাখরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত, রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, হযরত ফাতিমা আলাইহাস সালাম তিনি আমার (দেহ মুবারকেরই) একটি টুকরা। যে উনাকে রাগান্বিত করবে, সে আমাকেই রাগান্বিত করলো।”(বুখারী, মুসলিম)
হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে “হযরত যায়িদ ইবনে আরকাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, একবার রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফ-এর মধ্যবর্তী ‘খোম’ নামক পানির নালার নিকট দাঁড়িয়ে আমাদেরকে খুৎবা দান করলেন। প্রথমে আল্লাহ পাক উনার হামদ ও ছানা বর্ণনা করলেন, এরপর ওয়াজ ও নছীহত করলেন, অতঃপর তিনি বললেন, সাবধান! হে লোক সকল! নিশ্চয়ই আমি একজন বাশার, অচিরেই আমার নিকট আল্লাহ পাক উনার দূত (হযরত মালাকুল মউত আলাইহিস সালাম) আসবে, তখন আমি আমার রব তায়ালা উনার আহবানে সাড়া দিব। আমি তোমাদের মাঝে দুটি মূল্যবান সম্পদ রেখে যাচ্ছি। তন্মধ্যে প্রথমটি হল, আল্লাহ পাক-উনার কিতাব, এর মধ্যে রয়েছে হিদায়েত ও নূর। অতএব, তোমরা আল্লাহ পাক-উনার কিতাবকে খুব মজবুতভাবে আঁকড়ে ধর এবং দৃঢ়তার সাথে তার বিধি-বিধান মেনে চল। (বর্ণনাকারী বলেন,) আল্লাহ পাক-উনার কিতাবের নিদের্শাবলী কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য তিনি খুব বেশি উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত করলেন। অতঃপর বললেন, আর দ্বিতীয়টি হলো; আমার আহলে বাইত। আমি তোমাদেরকে আমার আহলে বাইত সম্পর্কে আল্লাহ পাক-উনার তরফ থেকে বিশেষ নছীহত করছি। আমি তোমাদেরকে আমার আহলে বাইত উনাদের সম্পর্কে আল্লাহ পাক-উনার তরফ থেকে বিশেষ নছীহত করছি।” (মুসলিম শরীফ)
মূলকথা হলো- সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত ফাতিমা আলাইহাস সালাম আহলে বাইত উনাদের অন্যতম। যিনি এই জুমাদাল উখরা মাসের ২০ তারিখ পবিত্র বিলাদত শরীফ লাভ করেন। শরীয়তের দৃষ্টিতে আহলে বাইত উনাদেরকে মুহব্বত করা ফরয। আর উনাদের প্রতি বিন্দু থেকে বিন্দুতম বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী। তাই সকলের জন্য বিশেষ করে মহিলাদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- উনাকে যথাযথ মুহব্বত ও পরিপূর্ণ অনুসরণ অনুকরণ করা এবং মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের উভয়ের সন্তুষ্টি হাছিল করা।