Pages

Sunday, October 24, 2010

সমগ্র সৃষ্টির রসূল পাক উনার গবেষণার জন্য কোন প্রতিষ্ঠান বা একাডেমী নেই কেন?


৯৭ শতাংশ মুসলমানের দেশে ২ শতাংশের কম হিন্দুর জন্য তাদের নামে বিশ্ববিদ্যালয়- একাডেমী হবে অথচ সমগ্র সৃষ্টির রসূল পাক উনার গবেষণার জন্য কোন প্রতিষ্ঠান বা একাডেমী নেই কেন?
-মুহম্মদ সালাহুদ্দীন আইয়ুবী, ঢাকা।

বড়ই কায়দা করে সংশোধন করা হল সংবিধান! উঠিয়ে দেয়া হল রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। কোন অজুহাতে? নাটোরের সরকারি রাণী ভবানী কলেজের বোরকার ঘটনার নাটক মঞ্চস্থ করে। এসব পূর্বপরিকল্পিত সাজানো নাটকের মঞ্চায়ন মাত্র। দেব নারায়ণ ওরফে নরপশুর কুরবানীর বিরুদ্ধে রিট; উদ্দেশ্য কুরবানী বন্ধ করা। হোঁচট খেয়ে শুরু হল অ্যানথ্রাক্স- উদ্দেশ্য কুরবানীর ক্ষেত্রে ভীতি সৃষ্টি করা। গরু-ছাগল সঙ্কট তৈরি করা, মুসলমানদের কুরবানী বন্ধ করা, সেটাও হালে পানি পায়নি। এরপর শুরু হল- পশ্চিমা কাট্টা কাফির ফ্রান্স, ইতালি, ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডের মত বাংলাদেশে বোরকা বিরোধী ষড়যন্ত্র। আপাত বিদেশী গুরুদের খুশি করতে সরকার বোরকার বিরুদ্ধে ইসলাম বিরোধী রায় দিয়ে ইতোমধ্যেই প্রভুদের ঘুরিয়ে দেয়া পুরস্কার লাভে সমর্থ হয়েছে। এরপর র’ আর ভারত মাতাকে খুশি করতে আবারো নতুন আয়োজন। কাট্টা মুসলিম বিদ্বেষী, কাট্টা কাফির মালউন, কথিত বিশ্বকবির নামে উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা একাডেমী প্রতিষ্ঠা করা এবং জন্মদিন জাঁকজমকের সাথে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ এসব কাদের স্বার্থে? প্রায় ৯৭ শতাংশ মুসলমানের দেশে, মুসলমানদের নবী এবং রসূল উনার উপর গবেষণা এবং উচ্চ শিক্ষার জন্য কোন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, কোনো গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করা হবে এমন ঘোষণা উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ-এর দিনে দেয়া হয়নি কেন? সরকারি উদ্যোগে দেশব্যাপী উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ দিবস পালনের জন্য সরকারি মঞ্জুরির ঘোষণা দেয়া হলো না কেন? তবে কী সরকার ভিতরে ভিতরে হিন্দু হয়ে গেলো? নাকি এদেশীয় যৎসামান্য হিন্দু ও ভারতমাতাকে খুশি করতেই এ নির্লজ্জ ঘোষণা ও আয়োজন? আবার নাকি যৌথভাবে ভারত-বাংলাদেশ কথিত ওই কবির জন্মদিন পালন করবে?
শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে কখনোই কাট্টা মুসলিম বিদ্বেষী যবন, অস্পৃশ্য, ম্লেচ্ছ কবির নামে যেন কোন প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা না হয়।
কথা হল ৯৭ শতাংশ মুসলমানের দাবি, সরকার মুসলমান হয়ে থাকলে আসন্ন পবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফই যেন সরকারি উদ্যোগে, সরকারি অর্থায়নে দেশব্যাপী ব্যাপক আয়োজনে পালন করা হয় এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে উচ্চতর শিক্ষা লাভ ও গবেষণার জন্য যেন বিশ্বমানের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ ও গবেষণাগার নির্মাণ করা হয়।